নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে কাটা পড়ে দু’পা হারানো যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেছে ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত যুবকের নাম মোশাররফ হোসেন খান (২৫)। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে। দুই ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে মোশাররফ চতুর্থ তিনি।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহার-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় মোশাররফকে উদ্ধার করে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, রেল স্টেশনের ৮ নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে মোশাররফ মোবাইলে ফোনে কথা বলছিল। এ সময় একটি ট্রেনের ইঞ্জিন ঘুরানোর একাধিকবার হর্ণ দিচ্ছিল। কিন্তু সে খেয়াল করেনি এবং অসাবধানতা বসত ইঞ্জিনের নিচে তার দু’পা কাটা পড়ে।
মোশাররফ হোসেনের ভগ্নিপতি মো. মনির হোসেন জানান, মোশাররফ ঢাকার আজিমপুরে চাচা স্বপন খানের বাসায় থেকে এ্যালিফ্যান্ট রোডে চাচার জুতার দোকানে কাজ করতো। তবে আজ (মঙ্গলবার) গ্রামের বাড়িতে তার ২য় ডোজ টিকা নেয়ার কথা ছিল। তাই ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে এ দূর্ঘটনার শিকার হয় মোশাররফ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, তার দু’পা কোমরের নিচের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক, তবে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলেও জানান বাচ্চু মিয়া।
সান নিউজ/এনএএম/এমকেএইচ
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            