জাতীয়

ভবনে ছিল না অগ্নি নিরাপাত্তার ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ভবনে অগ্নি নিরাপাত্তার ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বিকালে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটির আয়তন প্রায় ৩৫ হাজার বর্গফুট। ওই ভবনের জন্য অন্ততপাঁচটি সিঁড়ি থাকা দরকার ছিল, কিন্তু ছিল মাত্র দুটি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, কারখানার ভবনটিতে আগুন নেভানোর সরঞ্জামও তারা দেখেননি।

অপরদিকে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন বলেন, ভবনের মধ্যে একটি সিঁড়ি দিয়ে ছাদে ওঠার পথ আবার ঘটনার সময় তালাবন্ধ ছিল। তা না হলে অনেক প্রাণ বাঁচানো যেত।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সজীব গ্রুপের কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন বলেন, ফায়ার এক্সটিংগুইশার, হোস পইপ বক্স ছিল, এসব দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
তবে কোথা থেকে আগুন লেগেছিল তা এখন পর্যন্ত বোঝা যায়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ৩ জনের মৃত্যুর কথা স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে পোড়া কারখানা থেকে বের করে আনা হয় আরও ৪৯ জনের মৃতদেহ। আগুন যখন লাগে, তখন ওই কারখানায় ১৮০ থেকে ১৯০ জনের মতো কাজ করছিল বলে জানান সালাহ উদ্দিন।

আগুনে পুড়ে নিহত শ্রমিকদের ডিএনএ পরীক্ষার পর স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। আর এ জন্য স্বজনদের ডিএনএ স্যাম্পল কালেকশন শুরু করেছে সিআইডি।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ডিএনএ টেস্টের জন্য হাড়, টিস্যু ও দাঁতের নমুনা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া স্বজনদের (স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা ও যাদের সঙ্গে সরাসরি রক্তের সম্পর্ক আছে) রক্ত ও সোয়াব (মুখের লালা) সংগ্রহ করছে সিআইডি। এখন পর্যন্ত ১০ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট আশরাফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বয়সের উপর নির্ভর করে স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কারও কাছ থেকে রক্ত এবং সোয়াব নেয়া হয়। এ ছাড়া মরদেহের উপর নির্ভর করে হাড়, টিস্যু ও দাঁতের নমুনা নেয়া হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেলের মাধ্যমে সুরতহালের পর মরদেহগুলোর ডিএনএ সম্পর্কে বেসিক আছে তারপর পরীক্ষা করা হবে ল্যাবে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় লাগা আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে ৪৯টি মৃতদেহ। শুক্রবার মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে একটি লাশও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে আনা হয়েছে। আমাদের প্রথম কাজটি হবে মরদেহগুলোর যথাযথ প্রক্রিয়ায় ডিএনএ টেস্ট করে শনাক্ত করা। সবগুলো মরদেহ আগুনে পুড়ে ঝলছে গেছে।যতদিন লাগে মৃতদেহগুলো মর্গেই থাকবে। আত্মীদের সঙ্গে ডিএনএ সিম্পল মিলিয়ে পরবর্তীতে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত স্বজনদের কাছে মৃতদেহগুলো বুঝিয়ে দিতে।

সান নিউজ/এফএআর

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

হিটস্ট্রোকে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রা...

আইনি সেবায় মানবিকতাকেও স্থান দেয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনি সেবা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ড সফর শেষে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে...

ডিপিএস এসটিএস স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা