নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। একটু ধৈর্য ধরুন। একটু পরেই একটি প্রেস রিলিজ দেওয়া হবে।
২০২০ সালের নভেম্বরে বিতর্কিত নির্বাচনের পরে বেসামরিক সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার পরে এই অভ্যুত্থানটি ঘটল।
সু চিকে আটকের কয়েক ঘণ্টা পরে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এমন পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল। দেশের ক্ষমতা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এক অভিযানে এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এবং রাষ্ট্রপতি উইন মিনতকে আটক করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন পেয়ে বিজয় লাভ করে সু চি’র নেতৃত্বাধীন দল এনএলডি। তবে সেনাবাহিনী অভিযোগ, নির্বাচনে জালিয়াতি করে সু চি’র দল জয় লাভ করে। সেই অভিযোগেই অভিযান চালিয়ে সু চিসহ এনএলডির শীর্ষ নেতাদের আটক করা হয়।
বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, রাজধানী নেপিডোতে এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেছে। প্রধান প্রধান শহরগুলোতে টেলিফোন ও ইন্টারনেট লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।
সান নিউজ/বিএস