জাতীয়

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন: বিধান পালন না হলে কৈফিয়ত

মাহমুদুল আলম : ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যেসব মামলা দায়ের হয়, তা নির্ধারিত ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। না হলে কেন হয়নি, তা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও সরকারের কাছে প্রতিবেদন পাঠানোর বিধান রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউটর ও তদন্ত কর্মকর্তার প্রতি এই বিধান। তবে এই তিন পক্ষের কোন পক্ষই এই বিধান প্রতিপালন করছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিধানটি প্রতিপালন করার জন্য সব পক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর একটি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কোন পক্ষই আইনটি প্রতিপালন না করা বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সান নিউজকে বলেন, আইনে এই বিধান প্রতিপালন করার নির্দেশ আছে। তবে নির্দেশ প্রতিপালন না করলে কী হবে তা বলা নেই। এই অবস্থায় আইনটি প্রতিপালন হচ্ছে না। এখন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন যেহেতু নির্দেশ দিয়েছে, আশা করছি এবার এই নির্দেশ প্রতিপালিত হবে।

আইনের এই বিধান প্রতিপালনের জন্য এর আগে ২০১৬ সালে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চও নির্দেশ দিয়েছিল। সেটি প্রতিপালন হয়নি বলেই এখন আবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশ প্রতিপালন না হওয়ার দায়ে কারও বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করার প্রক্রিয়া অনুসরণের ব্যাপার আছে। তবে এখন প্রশাসনিক যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, এটি প্রতিপালন না হলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সরাসরি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারবে। তাই আইনের এই বিধান এখন প্রতিপালন হবে বলে আশা করছি।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবরের পাঠানো ওই লিখিত নির্দেশে বলা হয়েছে, এই আইনের ‘৩১ক ধারার বিধান আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে পুনরায় নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর আইনটির ৩১(ক) যথাযথভাবে অনুসরণ করতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর ও তদন্ত কর্মকর্তাকে (পুলিশ) নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। নির্দেশে আদালত বলেছিল, এ বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করা না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়।

সান নিউজ/এমএ/এস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বিএনপি বলছে অসংগতি, জামায়াত দেখছে ইতিবাচকতা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য...

আওয়ামী লীগ এখন ‘মরা হাতি’, যে ইচ্ছা লাথি দিতে পারে: হাসনাত

আওয়ামী লীগকে ‘মরা হাতি’ আখ্যা দিয়ে জাত...

শিবচরে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

মাদারীপুরের শিবচরে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রা...

বাংলাদেশের বাস্তবতায় জুলাই সনদের হিসাব–নিকাশ

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জুলাই স...

উপদেষ্টা থেকে প্রার্থী: ডিসেম্বরেই মাঠে মাহফুজ ও আসিফ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ফেব্র...

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জবাবদিহির আওতায় আনছে সরকার

জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের, এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্...

বোয়ালমারীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নারায়ণ চন্দ্র নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির...

জনগণের সিদ্ধান্ত নাকি রাজনীতির সাজানো সম্মতি?

গণভোট হলো জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণের একটি পদ্ধতি, যে...

এবার ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’ 

নির্বাচন বিধিমালা ২০০৮ সংশোধন করে সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকায় নির্বাচন কমিশন যু...

সুন্দরবনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বনদস্যু, তিন শতাধিক জেলে অপহরণ

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ও মৎস্যভান্ডার নামে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা