নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ১৯৯০ সালে যে আন্দোলন হয়েছে তা রাষ্ট্রপতি এরশাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর আন্দোলন বলা যেতে পারে, কিন্তু সেটা কোনোভাবেই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হতে পারে না। কারণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকার স্বৈরাচারী সরকার ছিল না।
তখনকার সরকার ছিল আদালত কর্তৃক স্বীকৃত গণতান্ত্রিক সরকার। সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান পল্লীবন্ধু এরশাদ স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। তাও সাংবিধানিক পন্থায়।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) বনানী জাতীয় পার্টিরৈ কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগীয় জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কায়েমী স্বার্থবাদীরাই তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য ওই আন্দোলনে ইন্ধন জুগিয়েছে। আর সে কারণেই উপজেলার মাধ্যমে প্রশাসনিক সংস্কার, ওষুধ নীতি, ভূমি সংস্কার এবং বিভাগীয় শহরে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ দেশের জনগণ।
তিনি বলেন, যারা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা নেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করেছি। কিন্তু আমরা আমাদের স্বকীয়তা বিসর্জন দেইনি। এখন আমরা বিরোধী দল। আমরা নির্বাচনমুখী একটি দল। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে যেকোনো নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো।
জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, জহিরুল ইসলাম জহির, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ওমর, আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন, সাইফুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
সান নিউজ/পিডিকে