ভারত বাংলাদেশের পাঠানো অনুরোধ—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত—পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অনুরোধপত্রটি তারা পেয়েছেন এবং তা ভারতীয় বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনি কাঠামোর আওতায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা অনুরোধটি পেয়েছি। এটি বিচারিক ও অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলি ভারত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। ১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর পরপরই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিকে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়।
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় এবং তার বিরুদ্ধে চলমান অন্যান্য বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, “হ্যাঁ, আমরা মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত বিষয়টি নোট করেছি। বাংলাদেশে যে সব ঘটনা ঘটছে, আমরা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও সামগ্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মধ্যে বৈঠক এবং দোভালকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ সম্পর্কে জয়সওয়াল বলেন, “আমরা এ বিষয়ে রিপোর্ট দেখেছি। সময় হলেই এ বিষয়ে অগ্রসর হবো।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দুই দেশের নাগরিকদের স্বার্থে কনস্যুলার পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ চলছে এবং এসব আলোচনা চলমান থাকবে।
সাননিউজ/এও