আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৩ জন করে অস্ত্রসহ আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “নির্বাচনে আনসার সদস্যদের অবদান সবচেয়ে বেশি থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে, এর মধ্যে ৩ জন থাকবে অস্ত্রসহ এবং ১০ জন থাকবে অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রবিহীন সদস্যদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী থাকবেন। এছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো প্রতিটি প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে অস্ত্রসহ একজন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।”
২৮ অক্টোবর ২০২৫ (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মোট ৯ দিন আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি দেশের নিরাপত্তা, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নিজেদের স্বার্থ ভুলে তারা নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকেন।”
এসময় তিনি জানান, বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণে মোট ৩১টি যানবাহন ক্রয় করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৯টি ট্রুপস ক্যারিয়ার, ১৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪২ আসনবিশিষ্ট ৪টি বড় বাস, ২৪ আসনবিশিষ্ট ২টি মিনি বাস এবং ২টি অ্যাম্বুলেন্স।
তিনি আরও বলেন, “দেশের সর্ববৃহৎ এই বাহিনীর সদস্যরা ছুটি, বিনোদন বা জরুরি প্রয়োজনে প্রায়ই যাতায়াতজনিত সমস্যায় পড়েন। তাদের এই ভোগান্তি লাঘব ও সুবিধা বাড়াতেই নতুন এই ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে। আমরা আশা করি, এটি বাহিনীর বৈধ পরিচয়পত্রধারী সকল সদস্যের জন্য নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও পেশাদার পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করবে।”
বাইরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিদিনই অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। গত পরশুদিনও আটটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান বাড়বে। আশা করছি, নির্বাচনের আগে বাইরে কোনো অস্ত্র বা অবৈধ অস্ত্রধারী থাকবে না।”
সাননিউজ/এও