সান নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শাওন (২০) নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন।তবে তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন কিনা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারে পূর্বানুমতি, হাইকোর্টে রায় স্থগিত
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাওন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বাবার নাম শাহেদ আলী। তিনি ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য।
এছাড়া যুবদলের আরো পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হলেন- মো. বাদল ভূঁইয়া (৩৫), নাবির হোসেন নবীন (৩০), মো রাসেল প্রধান (৩০), জুয়েল আরমান (৪০) ও মো. ফারুক (৩০)।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, কোনো পূর্ব অনুমতি না নিয়ে একটি মিছিল নিয়ে তারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ককটেল ছুঁড়ে মারে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে আমাদের ১০-১২ জনের মতো সদস্য আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, শাওন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে শহরের ২ নং রেলগেট এলাকায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে।
আরও পড়ুন: গুলশানে সিটি কর্পোরেশনের ভবনে আগুন
নারায়ণগঞ্জ সদর (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে মরদেহ রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুল হোসেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে যুবদলের পাঁচ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
সান নিউজ/এসআই