নির্বাচন কমিশন
রাজনীতি

ইসির অধীনে প্রশাসন চায় খেলাফত মজলিস

সান নিউজ ডেস্ক: খেলাফত মজলিসের দাবি, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও আইন মন্ত্রণালয়সহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিশেষত: মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন যারা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন চাইলে তাদের যে কাউকে বদলী করতে পারে।

আরও পড়ুন: বিএনপি প্রভুদের তুষ্ট করে ক্ষমতা চায়

সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এ দাবি করে দলটি। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের স্বাক্ষরিত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করা খেলাফত মজলিসের প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-

১. নির্বাচন কমিশনের কাজের ক্ষেত্রে সরকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, এমন নিশ্চয়তা থাকতে হবে।

২. নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবলের মাধ্যমেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেওয়া।

আরও পড়ুন: আমরা চাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন

৩. নির্বাচনকে অর্থ ও পেশী শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হবে। সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এরজন্য প্রয়োজনীয় নির্বাচনী আইন প্রণয়ন ও পদক্ষেপ নিতে হবে।

৪. ভোটারদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ নিশ্চিত করা ও যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা
ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. প্রত্যেকটি নির্বাচনী বুথে সিসিটিভি স্থাপন করতে হবে।

আরও পড়ুন: সিইসির বক্তব্য সকালে এক বিকেলে আরেক

৬. সব দলীয় প্রার্থীর ব্যক্তিগত প্রচারণা ছাড়া অন্যান্য আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্ব ও ব্যয় নির্বাচন কমিশন বহন করবে, এমন ব্যবস্থা করা। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোন গুরুতর অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রার্থীতা বাতিল এমনকি নির্বাচিত হলেও তার পদ বাতিল ঘোষণা করার ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৭. সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিদায়ী সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া অথবা দলীয় এমপি, মন্ত্রীদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রয়োজনে সংবিধানের সংশোধনী আনতে হবে।

আরও পড়ুন: ভারতে পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলছে

৮. ইভিএম যেহেতু জনগণ ও রাজনীতিকদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পরিহার করা। তবে, ভোটার ভেরিফাইএবল পেপার ট্রেলার সংযুক্ত করে স্থানীয় নির্বাচনে পরীক্ষা করা যেতে পারে। মেশিন যেহেতু মানুষ দ্বারা পরিচালিত হয় তাই সেগুলো ব্যবহার করার আগে রাজনৈতিক সমঝোতা ও সবদলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া ইভিএম চালু করার চেষ্টা করলে সন্দেহ আরও বেশি প্রবল আকার ধারণ করবে, যা কোন অবস্থায়ই কাম্য নয়।

৯. নির্বাচনের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনা, সুষ্ঠু অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। এর জন্য প্রয়োজনীয় সংলাপের সূচনা করা জরুরি।

সান নিউজ/কেএমএল

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা একমাস দাবদ...

ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমলো স্বর্ণের দাম 

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা অষ্টমবারের...

ঢাকায় ফিরল ৮ বাংলাদেশির লাশ  

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউ...

আমিরাতে প্রবল বৃষ্টিপাত, সতর্কতা জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিপা...

মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির অভিযোগে প্রতারণা ও জ...

কাঁচা আমের উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গ্রীষ্মকালের সু...

মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আ’লীগের লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন...

১০ জেলেকে মুক্তি দিল আরকান আর্মি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাফ নদীতে মাছ শ...

বজ্রপাতে একদিনেই প্রাণ গেল ১০ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশাখের তীব্র দ...

হাসপাতাল থেকে বাসা ফিরলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা