নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে সরকার দলীয় প্রচারের কাজে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদসম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চলমান অপতৎপরতার সর্বশেষ প্রমাণ হচ্ছে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ক্যাডার সমন্বয়ে গঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দলীয় তৎপরতা। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়াই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দূতাবাসগুলো দায়িত্ব।
তিনি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দূতাবাসগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনসহ সব ব্যয় বহন করা হয় অথচ কি নির্লজ্জ ও অপেশাদার উপায়ে সেই প্রতিষ্ঠানকেও দলীয়করণ করে জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে। মিথ্যাচার এবং প্রতারণা করার কাজে লাগানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্য ও হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন। উল্লেখ্য, কংগ্রেসম্যান গ্রেগোরি মিকসের নির্বাচনী আসনের আওতাধীন ‘জ্যামাইকা এলাকায়’ বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস। যারা ওই এলাকার ভোটারও বটে। যার প্রধান উদ্যেক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একজন নেতা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে প্রসঙ্গক্রমে মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সাম্প্রতিক ‘নিষেধাজ্ঞা’র প্রসঙ্গটি সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। এসময় গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগনেটস্কি আইনের কথা উল্লেখ করেন। যে আইনের অধীনেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বিদেশি যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
সাননিউজ/জেএস