রাজনীতি

নির্বাচনকে চূড়ান্ত পর্যায়ের তামাশা বললেন রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচনকে চূড়ান্ত পর্যায়ের তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন সুষ্ঠু নির্বাচন নামক শব্দটি মানুষের কাছে অচেনা হয়ে যাবে। এরা ভোটারদের ভোটাধিকার মনে প্রাণে ঘৃণা করে।

তিনি বলেন, এরা বিরোধীদল, ভিন্নমত, সমালোচনার ভয়ঙ্কর শত্রু। তাদের আমলে শঙ্কা ও ভয় জনগণকে ঘিরে থাকে। মূলত এদেশের জনগণ অনতিক্রম্য বন্দিশালায় বন্দি। জালিমশাহীর রাজত্ব, নমরুদ-ফেরাউনের আমলকেও হার মানিয়েছে। এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে হত্যাকারী ঘাতক হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং হুকুমের আসামি সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ দেয়ার পর রিজভী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। চসিক নির্বাচনের প্রথম তিন/চার ঘণ্টার ঘটনাবলির সংক্ষিপ্ত চিত্র সিইসিকে অবহিত করে বিএনপি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনী এলাকায় চরম সহিংস পরিস্থিতি বিরাজের অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল থেকে সহিংসতা চলেছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে এখনও পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারেন, তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলে বলছে, তারা কিছু করতে পারবে না।

অভিযোগ করে রিজভী আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে। আওয়ামী সরকারের যে বৈশিষ্ট্য নির্বাচনকে ঘিরে, সেই নির্বাচন হবে কেড়ে নেয়ার নির্বাচন। ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে না আসতে দেয়ার নির্বাচন। বিএনপি প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া বা গ্রেফতার করা—ঠিক একইভাবে চলেছে। আজ সকাল ৮টায় যে নির্বাচন শুরু হয়, দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ধানের শীষের এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়।

মূলত চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনী কার্যালয়ের যৌথ প্রযোজনায় আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলাবাহিনী পুলিশের দিকে অভিযোগ তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে পুলিশী তাণ্ডব চলেছে, চলছে। সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকালই পুলিশ কমিশনারসহ বিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কীভাবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পাইকারিহারে মামলা ও গ্রেফতার, এজেন্টদের গ্রেফতার ও বিএনপি নেতাকর্মীদের এলাকাশুন্য করে ভোট ডাকাতি করা যায়। আজ সকাল থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেই কাজটি তারা করেছেন।

তিনি বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না আসার জন্য যত ধরনের মেকানিজম আছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা একসঙ্গে মিলে সেই কাজটি করেছেন। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডারদের মতো কাজ করছে। ভোট ডাকাতিতে প্রশাসন যন্ত্র ও রাষ্ট্রযন্ত্র মিলে একাকার হয়ে গেছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত দেড়শতাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে।

সাননিউজ/টিএস/এম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জায়েদের ফোন পানিতে ছুড়ে ফেললেন সাকিব

বিনোদন ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের...

রাজধানীতে তাপমাত্রা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি তাপপ্রবা...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বুধবার (১লা মে) বেশ কিছু খ...

চীনে সড়ক ধসে নিহত ১৯ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ...

বিরক্ত হয়েই শাকিবের পরিবার এই সিদ্ধান্ত 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে নতুন করে...

কাঁচা আমের উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক: গ্রীষ্মকালের সু...

মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আ’লীগের লক্ষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন...

১০ জেলেকে মুক্তি দিল আরকান আর্মি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অভ্যন্তরে...

বজ্রপাতে একদিনেই প্রাণ গেল ১০ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃষ্টিহীন বৈশাখ...

হাসপাতাল থেকে বাসা ফিরলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা