জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী শনিবার চট্টগ্রামে গৃহীত এক নির্বাচনী সমাবেশে উদ্দীপক ও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর জন্য আজকের এই সুযোগ ভবিষ্যতে আর আসবে না। আমাদের কথায় প্রশাসনও উঠবে, বসবে, গ্রেপ্তার করবে এবং মামলা করবে।” সমাবেশটি চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা দিতে হবে এবং পুলিশ ও ওসি কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনী কার্যক্রমের বিষয়ে জানাতে হবে। তিনি জানান, নিজের নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য পূর্বে বিভিন্ন আর্থিক ও প্রশাসনিক সহযোগিতা করেছেন। যেমন, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় দশ কোটি টাকা করে বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি যোগ করেন, জনগণের চাহিদা ও অভিযোগ বোঝা গুরুত্বপূর্ণ এবং ভোটারদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “সংগঠন আমাদের মৌলিক ভিত্তি, কিন্তু জনগণকে যদি জায়গা না দেওয়া যায়, তাহলে নির্বাচনে বিজয় কঠিন।” তিনি উল্লেখ করেন, বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকার কেবল আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছিল, ফলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এই কারণে জন আন্দোলনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল।
তার বক্তব্য প্রকাশের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে প্রশাসন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তার মন্তব্যগুলো বিতর্কিত হিসেবে গণ্য হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যপূর্ণ কৌশল হতে পারে।
শাহজাহান চৌধুরীর এই মন্তব্য দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কার্যক্রমের কৌশল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য নেতারা তার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে দলের একতা ও ঐক্যের গুরুত্বে জোর দেন।
সাননিউজ/এও