মাদারীপুরে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ ব্যাপক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে কালকিনি উপজেলা চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর রেজাউল করিম (অব.) দুপুরে শোডাউন করে কালকিনি উপজেলা চত্বরে প্রবেশ করেন। এ সময় তার সঙ্গে অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তিনি উপজেলা চত্ত্বরে শহিদ মিনার মঞ্চে দাঁড়িয়ে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ উল আরেফিন সরকারী শহিদ মিনার মঞ্চে বক্তব্য না দেয়ার জন্যে রেজাউল করিমকে অনুরোধ করেন। পরে রেজাউল করিমকে তার রুমে নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে আরকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আসিনুর রহমান খোকন তালুকদারের কর্মী ও কালকিনি পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক এইচএম তুহিনের সঙ্গে রেজাউল করিমের সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে মুর্হূতের মধ্যেই দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সহ উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুদ্ধরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সংর্ঘষের খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ উল আরেফিন জানান, রেজাউল সাহেব বেশ কিছু লোকজন নিয়ে উপজেলা চত্ত্বরে মিছিল করছিলেন। আমি গিয়ে তাকে অনুরোধ করে আমার রুমে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে কিছু লোকজন এসে তাদের ওপরে হামলা করে।
তবে এ সংঘর্ষের বিষয় বিএনপি মনোনীত দুই প্রার্থীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা ফোন রিসিভ করেনি।
সাননিউজ/আরআরপি