লাইফস্টাইল ডেস্ক : টি-শার্ট যেকোনো বয়সীদের জন্যই দারুণ মানানসই পোশাক। নারী-পুরুষ যেকেউ এটি পরতে পারেন। সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাকের তালিকায় টি-শার্টের নাম থাকবে শুরুর দিকেই। দামেও সহজলভ্য বলে এই পোশাক ব্যবহার করতে পারেন যে কেউই।
আরও পড়ুন : এসি কেনার আগে খেয়াল রাখবেন
প্রতিদিন ব্যবহার করা এই পোশাকের অনেক বিষয়ই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। যেমন- এই টি-শার্টের নাম কেন টি-শার্টই হলো? এই ‘টি’ এর অর্থ আমাদের বেশিরভাগেরই অজানা। অথচ ছোটবেলা থেকেই এই পোশাক গায়ে চাপিয়ে আসা।
একটা সময় টি-শার্টের ‘টি’-এর অর্থ জানতো অনেকেই। সময়ের সাথে সাথে তা ভুলে গেছে বেশিরভাগ মানুষ। নতুন প্রজন্ম এ নিয়ে ভাবার সময়ও পায়নি।
আরও পড়ুন : ভূমিকম্পের সময় যা করনীয়
দ্য সান ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে অনেকের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকটক ভিডিও পোস্ট করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানেই তারা বলছে টি-শার্টের ‘টি’-এর অজানা অর্থ। সেক্ষেত্রে যারা প্রথমবার এর অর্থ জানছেন, তাদের প্রতিক্রিয়াও গ্রহণ করা হচ্ছে।
টি-শার্টের নাম কেন টি-শার্টই হলো :
টি-শার্টের ‘টি’-এর অর্থের পেছনে আছে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। যদিও এ বিষয়ে প্রচলিত ২ টি তত্ত্ব রয়েছে।
প্রথম তত্ত্বটি হলো- একটি টি-শার্ট নিয়ে সোজা করে তুলে ধরুন অথবা বিছানার ওপর বিছিয়ে দিন। এরপর হাতা ২ টি ২ পাশে ছড়িয়ে দিন। এখন খেয়াল করুন এর আকৃতি ইংরেজি অক্ষর ‘টি’-এর মতো হয়ে গেছে। এ কারণেই একে টি-শার্ট বলা হয়। সাধারণত টি-শার্টে কলার থাকে না। এর গলার কাট গোল হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন : নারীদের মাথা বেশি গরম!
টি-শার্টের ‘টি’ নিয়ে অন্য তত্ত্বটি হলো- এক সময় সৈন্যদের পোশাক ছিল টি-শার্ট।
কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টি-শার্ট তৈরির শুরুর দিকে কোনো কোনো দেশের সৈন্যরা প্রশিক্ষণের জন্য এই পোশাক পরতেন। কিছু সেনাবাহিনীতে নিজেদের ইউনিফর্মের নীচে টি-শার্ট পরার রীতি ছিল। সেই সাথে টি-শার্ট পরে তারা শারীরিক প্রশিক্ষণও নিতেন। তাই এই পোশাককে ‘ট্রেনিং শার্ট’ বা টি-শার্ট বলা হতো।
প্রসঙ্গত, ১৯১৩ সালের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী সৈন্যদের জন্য টি-শার্ট তৈরি করা শুরু করে।
সান নিউজ/এনজে