সান নিউজ ডেস্ক: বেশিরভাগ মানুষই যক্ষ্মা কাশিকে সাধারণ ভেবে ভুল করেন। হঠাৎ করেই সর্দি ছাড়া যদি কাশির সমস্যা দেখেন তাহলে সতর্ক হতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রেমে ব্যর্থতায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি
যক্ষ্মার অন্যতম লক্ষণ হলো কাশি। আপনি যদি একটানা ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে কাশিতে ভোগেন তাহলে তা যক্ষ্মার ইঙ্গিত দেয়। কাশির পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট বা রাতের ঘাম হওয়া যক্ষ্মার সাধারণ লক্ষণ হতে পারে।
তবে কাশি নাকি যক্ষ্মার কারণে কাশি হচ্ছে তা বুঝবেন যে লক্ষণে-
যক্ষ্মার লক্ষণ:-১. গুরুতর কাশি (২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়)
২. কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা
৩. ক্লান্তি
৪. ক্ষুধা কমে যাওয়া
৫. ওজন কমে যাওয়া
৬. শরীরে ঠান্ডা লাগা
৭. জ্বর
৮.রাতে ঘাম হওয়া ইত্যাদি।
টিবি হওয়ার কারণ:-১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা
২. টিবি আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ
৩. অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
৪. নিয়মিত ধূমপান করা
৫. দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভোগা ইত্যাদি।
টিবি’র চিকিৎসা:
টিবি’র প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে চিকিৎসকরা ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার রোধের জন্য ৬ মাসের ওষুধ দিয়ে থাকেন। টিবি চিকিৎসার দ্বিতীয় পর্বে ৮-৯ মাসের টিবি ওষুধ দেওয়া হয়, যা শরীরের অভ্যন্তরে সুপ্ত যক্ষ্মাকে মেরে ফেলে।
রোগী যদি ক্যাটাগরি ১ ও ২-এর ওষুধ খেয়েও সুস্থ না হন, সেক্ষেত্রে আবার তৃতীয় বা চতুর্থবার টিবিতে আক্রান্ত হতে পারেন। একে বলা হয় এমডিআর (মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট) টিবি।
সান নিউজ/এনজে/এনকে