সাননিউজ ডেস্ক: চল্লিশ বছর বয়সেই ডায়াবেটিস, প্রেশার, সুগার, জয়েন্ট পেইন কাবু করে ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছরের সময়টা একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়েই নিজের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে বেশি দরকার। এই বয়সে নারীরা মেনোপজের দিকে এগোতে থাকে। পুরুষদেরও দেখা দেয় অনেক শারীরিক জটিলতা। তবে এসব জটিলতা এড়িয়ে চলতে মানতে হবে কিছু নিয়ম।
ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সৌমেন দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ এমন একটা বয়স যখন এক্সারসাইজও খুব হিসেব করে করতে হবে। খুব বেশিও করা যাবে না, আবার কমও নয়।
পুরুষদের শারীরচর্চা:
চল্লিশের পরে ছেলেদের মাসল লুজ হতে থাকে। এতে গায়ে হাত পায়ে ব্যথা হয়। এই বয়সে স্ট্রেসের মাত্রাও বেড়ে যায়। অনেক রকম রোগব্যাধির সূত্রপাত হয়। কিছু কার্ডিয়ো ওয়ার্কআউট তার সঙ্গে স্ট্রেংদেনিং এক্সারসাইজ এই দুটো মেলাতে হবে। কার্ডিয়োর মধ্যে হাঁটা, দৌড়ানো, জগিং, সাঁতার, অ্যারোবিক্স, পিলাতেস... যা খুশি হতে পারে। রোজ ১৫-২০ মিনিট কার্ডিয়ো জরুরি।
এছাড়া শরীর লুজ হয়ে গেলে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। সে কারণেই চেহারা টোনড করা জরুরি হয়ে পড়ে। তাতে নিজেকে দেখতেও ভালো লাগবে, মানসিক সুস্থতাও আসবে।
নারীদের শারীরচর্চা:
নারীদের চল্লিশ থেকেই জয়েন্ট পেইন, আর্থ্রাইটিস জাতীয় সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া কেরিয়ারের কারণে এখন অনেক নারীই মধ্য তিরিশে মা হন। ফলে চল্লিশে পৌঁছেই চেহারায় ভারিক্কি ভাব চলে আসে।
‘মা হওয়ার পরে মেয়েদের শরীরে অনেক বদল আসে। হরমোনাল পরিবর্তন হয়। চেহারার ভারী ভাব কাটানোর জন্য স্ট্রেংদেনিং ও টোনড ওয়ার্কআউট প্রয়োজন। তার সঙ্গে অবশ্যই কার্ডিয়ো করতে হবে।’
আরও পড়ুন: চিরতা ভেজানো পানির উপকারিতা
পেটের অংশের মেদ কমাতে প্লাঙ্ক ও ক্রাঞ্চ খুব জরুরি। যারা একদম প্রথম এক্সারসাইজ করছেন তারা ৩০ সেকেন্ড প্লাঙ্ক দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে তিন মিনিটে নিয়ে যান। ক্রাঞ্চ করতে হবে ১৬ কাউন্টে তিন-চার সেটে। চেস্টের অংশের জন্য ওয়াল পুশ আপ দিতে পারেন। পায়ের জন্য স্কোয়াট। এখানেও ১৬ কাউন্টে তিন-চার সেট।
সাননিউজ/এমএসএ