সান নিউজ ডেস্ক: চিরতার স্বাদ তেতো হলেও এই ফলটির রয়েছে নানান গুণ। চিরতার পাতলা ডালপালা ধুয়ে পরিষ্কার করে গ্লাস বা বাটিতে পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ওই পানি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। হৃৎপিণ্ড ও যকৃতের সবলকারক, চোখের জ্যোতিবর্ধক ও জ্বর রোগে বিশেষ উপকারী চিরতার পানি। প্রতিদিন সকালে চিরতা ভেজানো পানি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান
চিরতায় যেসব উপকার হয়-
চিরতা পিত্ত জ্বর বা ঘণ ঘণ বমিসহ গায়ে হালকা জ্বরে উপকারি। এক্ষেত্রে ২ কাপ গরম পানিতে ৫ গ্রাম চিরতা থেতো করে রাখতে হবে ২-৩ ঘন্টা পরে পানি ছেঁকে খেতে হবে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে ৫-১০ গ্রাম চিরতা ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ২ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেকে সকালে অর্ধেক বিকালে অর্ধেক থেতে হবে।
রক্তপিত্তে ৪-৫ গ্রাম চিরতা দুই কাপ ঠান্ডা পানিতে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে এই পানি ৩/৪ বার খেতে হবে।
টাইফয়েড জ্বরের পরে প্যারা টাইফয়েড জ্বর হয়। এজন্য টাইফয়েড জ্বরের পরে চিরতার রস উপকারি।
২৫০ মিলি বা ৫০০ মিলি চিরতা ভিজানো পানি অল্প মধু বা চিনি মিশিয়ে খেলে ২-৮ বছরের বাচ্চাদের কৃমি ভালো হয়।
২০ গ্রাম চিরতা অল্প পানিতে ছেঁচে লোহার কড়াইতে সর্ষে তেল গরম করে তাতে ভেজে তেল ছেঁকে অল্প অল্প করে নিয়ে চুলকানির যায়গায় ঘষে লাগালে চুলকানি ভালো হয়।
রোজ সকালে চিরতার পানি খেলে অ্যালার্জি ভালো হয়।
চিরতার পানি ফ্যাটি লিভারসহ লিভার সমস্যা ভালো করে।
বদহজম ও অ্যাসিডিটি কমায়।
চিরতা রক্ত কোষ গঠন করে এজন্য চিরতা খেলে রক্তশূন্যতা ভালো হয়।
চিরতা রক্তে চিনির পরিমান কমায় এজন্য ডায়বেটিসের জন্য উপকারি।
শ্বাসকষ্ট ভালো করে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো করে।
চিরতা প্রবল হাঁপানি কমায়। এজন্য আধাগ্রাম চিরতা চূর্ণ ৩ ঘন্টা পরপর মধুসহ চেটে খেতে হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধী।
সাননিউজ/এমআরএস