আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে যাওয়ার প্রাক্কালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে ডুবে অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন : তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হলেন জিনপিং
বুধবার (৮ মার্চ) তিউনিশিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাতে উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি দল ভূমধ্যসাগরের তিউনিশিয়া উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকার ৫৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত ও ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নৌকার যাত্রীরা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি তিউনিশিয়া এবং লিবিয়া হয়ে ইতালিগামী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হন।
আরও পড়ুন : জার্মানিতে গির্জায় বন্দুক হামলা, নিহত ৬
উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে ইউরোপে আসা লোকজনের প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে পূর্ব-মধ্য তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স উপকূল।
উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির মানুষের জীবন মান ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ গত ২১ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিবাসনের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে তিউনিসিয়ার জাতীয় পরিচয় পরিবর্তন করা।
আফ্রিকা ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে তার এই মন্তব্যে ব্যাপক বিতর্ক এবং সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা কাইস সাইদের এই মন্তব্যকে বর্ণবাদী উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানায়।
আরও পড়ুন : আত্মঘাতী হামলায় তালেবান নেতা নিহত
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ‘মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্ট’ একমাত্র ডেটাবেস; যা বিশ্বব্যাপী অভিবাসী মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করে।
তারা আইনি পরিস্থিতি নির্বিশেষে একটি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে অভিবাসনের সময় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের রেকর্ড রাখে।
প্রসঙ্গত, আইওএম ইউরোপের পথে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় এই পথকে সবচেয়ে মারাত্মক রুট হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন : আত্মঘাতী হামলায় তালেবান নেতা নিহত
২০১৪ সাল থেকে এই পথে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ নিহত অথবা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
সান নিউজ/এইচএন