আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের করাচিতে পুলিশ সদর দপ্তরে অতর্কিত বন্দুক হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
আরও পড়ুন: তাজিকিস্তানে তুষারধসে নিহত ১৭
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে পুলিশ প্রধানের কার্যালয় জঙ্গিমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরইমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তাবাহিনী। পরে সেখান থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তা কমানোর পরিকল্পনা
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী অভিযান শুরু করার পর অন্তত ৩ জন জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বাকি ২ জন অভিযানকালে গুলিতে নিহত হন।
স্থানীয় পুলিশ সূত্র বলছে, বন্দুকধারীরা পুলিশের পোশাক পরেই ওই ভবনে প্রবেশ করে এবং হামলা চালায়। গত জানুয়ারিতে পেশোয়ারে মসজিদে হামলার সময়ও জঙ্গিরা পুলিশের পরা ছিল।
আরও পড়ুন: সত্য বললে দেশের উপকার হবে
সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যপমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ জানিয়েছেন, হামলার সময় পুলিশপ্রধান করাচিতে ছিলেন না। হামলার পরপরই তারা অভিযান শুরু করেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, করাচির শারিয়া ফয়সাল এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টা দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। সেখানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ফয়সাল ঘাঁটি রয়েছে। এছাড়া পুলিশপ্রধানের কার্যালয়ের পাশেই সাদ্দার পুলিশ স্টেশন। ওই পুলিশ স্টেশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারাও হামলার শিকার হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যেদিকে তাকানো হয়, উন্নয়ন আর উন্নয়ন
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালেও করাচির একটি নৌঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠীটি। সবশেষ গত ১৪ জানুয়ারি পাকিস্তানের পেশোয়ারে পুলিশ লাইন্স এলাকার একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৮০ জনের বেশি নিহত হন। ওই হামলার দায়ও স্বীকার করে টিটিপি।
সান নিউজ/এমআর