সান নিউজ ডেস্ক: আবারও রাশিয়ার শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: সরকার অস্বস্তিতে নেই
তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ শান্তিচুক্তিতে দেশটির দখল করা ভূখণ্ড ছাড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তার আগের অবস্থানে দৃঢ় থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এর আগেও একাধিকবার শান্তিচুক্তির শর্ত হিসেবে রাশিয়া দখলকৃত অঞ্চলের দাবি ছাড়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বারবারই সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য ভবিষ্যতের শান্তিচুক্তিতে কোনো ইউক্রেনীয় অঞ্চল ছেড়ে দিতে রাজি হবে না কিয়েভ। জেলেনস্কির এ অবস্থান রাশিয়ার জন্য একটি বার্তা বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
আরও পড়ুন: তেলের উৎপাদন কমাচ্ছে রাশিয়া
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘যে কোনো আঞ্চলিক সমঝোতা (ছেড়ে দেওয়া) রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দুর্বল করে দেবে।’ ‘এটা আসলে কোনো আপসের বিষয় নয়। আমরা কেন ভয় পাই? জীবনে লাখ লাখ বার আপস করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো— কার সঙ্গে? আপস পুতিনের সঙ্গে? না। কারণ কোনো আস্থা নেই।’
বসন্তকালীন আক্রমণ (স্প্রিং অ্যাটাক) সম্পর্কে জেলেনস্কি বিবিসিকে বলেন, ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এই আক্রমণ নিয়ে দেশটির কর্মকর্তারা আগে থেকেই সতর্ক করে আসছিলেন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ান হামলা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে শুরু হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম বাড়বে না
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে মস্কো স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে যায় যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই পাল্টে যেতে শুরু করে জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির চেহারা। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়া থেকে জ্বালানি, ভোজ্য তেল, গ্যাস ও কয়লাসহ খাদ্যশস্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। প্রায় এগারো মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ।
সান নিউজ/এনকে