আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ভয়াবহ তুষার ঝড়ে এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল ঝড় আর প্রচন্ড ঠান্ডায় দেশটির জনজীবন গত কয়েকদিন ধরে স্থবির হয়ে আছে।
আরও পড়ুন : ইসলামাবাদে সন্ত্রাসী হামলার সতর্কবার্তা
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর আমেরিকাজুড়ে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো শহর ঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন : মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। রাস্তাঘাটে কোথাও ৮ ফুট, কোথাও বা ১০ ফুট পুরু বরফের আস্তরণ জমে গেছে।
আমেরিকার এই ভয়ঙ্কর তুষারঝড়কে ‘সাইক্লোন বম্ব’ বলা হচ্ছে । ফলে দেশের নানা প্রান্তে হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নীচে নেমে গেছে তাপমাত্রা।
ঠান্ডায় প্রায় জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা এমন যে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও দুর্যোগ কবলিতদের উদ্ধারে বাধা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : ঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র, নিহত ৩৪
ভয়াবহ তুষারঝড়ের মাঝে বড়দিনে নাগরিকদের ঘরের বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যতটা সম্ভব বাড়ির ভেতরেই থাকতে বলা হয়েছে সবাইকে। খুব জরুরি দরকার না হলে কেউ রাস্তায় বেরোচ্ছেন না।
এদিকে ভয়াবহ তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চল। নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, বাফেলোতে আট ফুট (২.৪ মিটার) তুষারপাত হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনজীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
আরও পড়ুন : সমঝোতায় প্রস্তুত রাশিয়া
তিনি আরও বলেন, খুব বিপজ্জনক জীবন-হুমকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বাফেলোর বাসিন্দারা। এলাকার যে কাউকে বাড়ি থেকে বের না হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৯৭৭ সালের তুষারঝড়কেও এই ঝড়ের ভয়াবহতা অতিক্রম করেছে, যা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে বলেও জানান নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল।
আরও পড়ুন : জোহানেসবার্গে ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ১০
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বাফেলোতে তুষারঝড়ে গাড়ির ভেতরে আটকা পড়ে মারা গেছেন কয়েকজন। তুষারআবৃত রাস্তা থেকে কয়েকজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বাফেলো ছাড়াও ভেরমন্ট, ওহাইও, মিসৌরি, উইসকনসিন, কানসাস এবং কলোরাডোতে ঠান্ডা ও ঝড়ে মানুষ মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
সান নিউজ/এইচএন