সান নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনে এত মৃত্যুর জন্য ন্যাটোও কিছুটা দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন, দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি নাবিকের মৃত্যুতে রাশিয়ার সমবেদনা
এ ব্যাপারে ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বিবিসি রেডিও ফোরকে বলেন, এটা অত্যন্ত অমানবিক যে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করার কারণে অনেক ছোট বাচ্চা ও সাধারণ জনগণ হত্যার শিকার হবে।
ইউক্রেনের সাধারণ জনগণের রক্ত শুধুমাত্র রাশিয়ার সেনাদের হাতে না, তাদের রক্ত ন্যাটোর হাতেও লেগে আছে। কারণ ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ন্যাটোকে অনুরোধ করা হয়েছিল ইউক্রেনের ওপর নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করতে। কিন্তু তারা তা করেনি।
এদিকে কোনো স্থানে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা মানে, সেই নির্দিষ্ট আকাশসীমায় নির্দিষ্ট একটি দেশের কোনো বিমান বা মিসাইল কোনো কিছু ওড়তে পারবে না।
আরও পড়ুন: আমিরাত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এখন ন্যাটো যদি ইউক্রেনে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করে তাহলে তাদের সেনাদের সেখানে অবস্থান নিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে রাশিয়ার বিমানে গুলি চালাতে হবে। গুলি চালিয়ে বিমান ভূপাতিতও করতে হবে।
এতে করে যুদ্ধ পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোনের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়ায় চলছে তুমুল যুদ্ধ। ইউক্রেন দাবি করেছে যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় নয় হাজার সেনা হতাহত হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে
যুদ্ধে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার, ২১৭টি ট্যাঙ্ক, ৩০টি যুদ্ধবিমান, ৮৪৬টির বেশি সাঁজোয়া যান ও ৩১টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা।
তবে রাশিয়া প্রথমবারের মতো বুধবার জানায় যুদ্ধে ৪৯৮ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। তাছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত এক হাজার ৫৯৭ সেনা। স্থানীয় সময় ২ মার্চ রাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা রোগী ৪৪ কোটি ছাড়াল
অন্যদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের হামলায় ইউক্রেনের সেনাসহ দুই হাজার ৮৭০ জন নিহত হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। টানা কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে