আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে দূতাবাস সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আপাতত ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় লিভ শহরে দূতাবাসটি স্থাপন করা হবে। ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সেনা সমাবেশ করেছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির মার্কিন দূতাবাস ঘোষণা এসেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার এক বিবৃতিতে এমন ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। একই সঙ্গে ইউক্রেনে এখনও অবস্থান করা মার্কিন নাগরিকদের দেশটি থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে দূতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি সাময়িক বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত বছর থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। দেশটির তিন দিকে অবস্থান করছে রুশ সেনারা। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, ইউক্রেনে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ক্রেমলিন। পাল্টা জবাবে পূর্ব ইউরোপে সামরিক শক্তি জোরদার করেছে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো।
বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, নাটকীয়ভাবে সামরিক শক্তি জোরদার করছে রাশিয়া। এসবের জেরে ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম কিয়েভ থেকে লিভ শহরে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মার্কিন দূতাবাস কিয়েভ থেকে সরিয়ে নেওয়া হলেও ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান সংকট সামাল দিতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: পাঁচ হাজার ভিসা দেবে রোমানিয়া
এদিকে কিয়েভ থেকে বেশির ভাগ কূটনীতিকদের সরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনার পর এর মধ্যেই শহরটিতে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে এসেছে। দূতাবাসের ফটকে অবস্থানরত ইউক্রেনের এক নিরাপত্তারক্ষী এএফপিকে জানিয়েছেন, সেখান থেকে সব মার্কিন নাগরিক চলে গেছেন।
ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার মাথাব্যথার মূলে রয়েছে ন্যাটো। ২০০৮ সালে ন্যাটো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, একসময় ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে ইউক্রেন। এ প্রতিশ্রুতিরই প্রত্যাহার চায় রাশিয়া।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে ৩২২ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ
ইউক্রেন যদি ন্যাটোয় যোগ দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী রুশ সীমান্তে চলে আসবে। এ প্রসঙ্গে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেন এমন পদক্ষেপ নিলে তা পরিস্থিতিকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ