আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বের ১৭টি দেশ ও অঞ্চলে পৌঁছে গেছে।
নতুন করে কেউ যেন সংক্রমিত না হন সেজন্য অনেক দেশ নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক যেসব দেশে পৌঁছেছে ওমিক্রন
দক্ষিণ আফ্রিকা: গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। ১ হাজার ১০০ জন করোনা পজিটিভ রোগীর নমুনা পরীক্ষায় ৯০ শতাংশের ওমিক্রন ধরা পড়েছে।
বতসোয়ানা: আফ্রিকার এই দেশটিতে ১৯ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য: এখন পর্যন্ত তিনজনের ওমিক্রন নিশ্চিত হয়েছে ব্রিটেন। যাদের সবার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণের সম্পর্ক আছে।
জার্মানি: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মিউনিখ বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের মধ্যে দু’জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে ১৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
ডেনমার্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগত দুজন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।
বেলজিয়াম: দেশটিতে একজনের ওমিক্রন ধরা পড়েছে।
ইসরায়েল: ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে একজনের ওমিক্রন নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ইতালি: দেশটিতে একজনকে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত পাওয়া গেছে।
চেক প্রজাতন্ত্র: স্থানীয় গণমাধ্যমে একজনকে ওমিক্রন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের তথ্য জানানো হয়েছে।
হংকং: ওমিক্রন আক্রান্ত দু'জনকে হোটেল কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে দুজনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
কানাডা: সম্প্রতি নাইজেরিয়াফেরত দু'জনের এই ধরণ শনাক্ত হয়েছে।
অস্ট্রিয়া: দেশটির টাইরোলে দক্ষিণ আফ্রিকাফেরত একজনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। আরও ৩০ জনকে এই ধরনে আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহ করছে কর্তৃপক্ষ।
সুইজারল্যান্ড: প্রায় এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা একজনের ওমিক্রন ধরা পড়েছে।
ফ্রান্স: আটজনকে এই ধরনের আক্রান্ত হিসেবে সন্দে করা হচ্ছে।
পর্তুগাল: ১৩ জনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের শক্তিশালী প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ব্যাপারে ডব্লিউএইচও বলেছে, ওমিক্রন অত্যন্ত বিপজ্জনক, প্রস্তুতি নিন। পাশাপাশি ভাইরাসের এই ধরনকে মোকাবিলায় বিশ্বকে দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থা।
সান নিউজ/এফএইচপি