আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ বিল বয়কট করায় বিপাকে পড়েছে মিয়ানমারের বিদ্যুৎ খাত। আর্থিক সংকটের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে দেশটির বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব আয় ৯০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে।
সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকেই নাগরিকরা বিদ্যুৎ বিল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। বর্তমানে দেশটিজুড়ে ২৪ ঘণ্টার অধিকাংশ সময়ই থাকছে লোডশেডিং। দেশটির সরকারি হাসপাতালগুলো লোড শেডিংয়ে পড়ার কারণে সেখানে প্রায় সার্বক্ষণিক জেনারেটর চালাতে হচ্ছে।
সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর সেখানকার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় 'বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সরকার সহযোগিতা করতে পারছে না। বিদ্যুতের দাম ও সরবরাহও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না।'
এদিকে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত চার হাজার ৫৮ জন সামরিক স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই বিল সংগ্রহ ও কারিগরি সহযোগিতা দিতেন। সেনাদের ক্ষমতা দখলের আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে কর্মী ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার। এই চার হাজারের বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করায় এর প্রভাব মন্ত্রণালয়ে পড়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন অং সাং সু চিকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটির জনগণ বিক্ষোভ করে আসছে।
সান নিউজ/ এমএইচআর