আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তীব্র দাবদাহ এবং বজ্রপাত থেকে দাবানলের সৃষ্টি। আর এই দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে কানাডার পশ্চিমাঞ্চলে। ১৩০টির বেশি ছোটবড় দাবানলের কারণে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ওই প্রদেশের লাইটন থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে গ্রামের লোকজন। খবর বিবিসির।
কানাডার দাবানল নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে কমপক্ষে শতাধিক দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে ৭৭টি সৃষ্টি হয়েছে গত দু'দিনে। এগুলোর বেশির ভাগই বজ্রপাত থেকে সৃষ্টি।
দাবানলের আগুন নেভাতে স্থানীয় দমকল কর্মীদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রায় ১ হাজার বাসিন্দা দাবানল থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ কলম্বিয়ার লাইটন গ্রামে তাপমাত্রা ৪৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ। দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ভয়াবহ দাবানল। শুধু কানাডা নয়, এবার উত্তর আমেরিকাজুড়েই অস্বাভাবিক গরম পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, এর মধ্যেই তিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই এলাকাগুলোর বিভিন্ন সমস্যা খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হবে।
ভ্যানকুভারের ২৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২৫০ জনের বসবাস। বুধবার বিকেলে সেখানে দাবানল শুরু হওয়ার পর লোকজন বাধ্য হয়েই বাড়ি ছেড়েছে। অনেকেই নিজেদের সঙ্গে কোনও জিনিসপত্র নেয়ারও সুযোগ পাননি। মেয়র জান পোলডারম্যান বলেন, মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই পুরো শহর ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে।
কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হারজিৎ সজ্জন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় হেলিকপ্টার ও হারকিউলিস টারবোপ্রপ পরিবহন উড়োজাহাজের মাধ্যমে সহায়তা কার্যক্রম চালানো হবে।
সাননিউজ/এএসএম