আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব এখন টালমাটাল অবস্থা। করোনা কারণে নানা সময়ে নানা দেশে নানা ধারণের ঘটনা ঘটতেছে। এবার থাইল্যান্ডের একটি অস্থায়ী করোনা হাসপাতালে গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় এক বৃদ্ধা রোগী নিহত হয়েছেন। নিহত রোগীর বয়স ৫৪ বছর।
বৃহস্পতিবার (২৪ই জুন) সাবেক এক সেনা সদস্য আজ ওই হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, অস্থায়ী ওই হাসপাতালে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর আগে একটি স্টোরের কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেন ওই সাবেক সেনা সদস্য। কী কারণে তিনি এভাবে হামলা চালালেন সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান আম্ফল বুয়ারাবপর্ন জানান, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর বয়স ২৩ বছর। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যাংককের কাছাকাছি অবস্থিত পাথুম থানি এলাকায় অবস্থিত অস্থায়ী ওই কভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা মাদকাসক্ত।
সাবেক ওই সেনা সদস্য মাদককে ঘৃণা করেন। সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী মনে করেছিলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সবাই মাদকাসক্ত। সে কারণেই হয়তো তিনি এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই হাসপাতালটি প্রথমদিকে মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসেবে সেবা দিলেও বর্তমানে এটি অস্থায়ী কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।
সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ডের একটি শপিংমলে গুলি চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা করেন এক সেনা সদস্য। ওই ঘটনার পর থাইল্যান্ডের জুনিয়র সামরিক কর্মীদের মানসিক চিকিত্সার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
পুলিশ প্রধান আম্ফল জানান, হাসপাতালে হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগেই সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী একটি স্টোরের এক কর্মীর সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
সূত্র: রয়টার্স।
সাননিউজ/এএসএম