আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান প্রয়োগ, লাঠিপেটার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পুলিশ ফাঁকা গুলি চালানো শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত ভিড়ের ওপর গুলি চালানো হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর জল কামান প্রয়োগ করা হয়েছে। ক্ষমতা দখলকারী সেনা সরকার মিয়ানমারে সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। টানা চতুর্থ দিনের মতো বিভিন্ন শহরে সমবেত হয়ে সেনা শাসনের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। তবে পুলিশও ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোতে সমবেত হয়েছে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমবেত হওয়া এসব বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে দিতে পুলিশ প্রথমে জল কামান প্রয়োগ করে। পরে তাদের ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালানো শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েক দফা গুলির শব্দ শোনা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা। অপরদিকে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সু চি সমর্থকরা।
এতে শামিল হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অব্যাহত রয়েছে বিভিন্ন আন্দোলন-কর্মসূচি। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং পরবর্তীতে গত শনিবার ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। তবুও ঠেকানো যাচ্ছে না আন্দোলন।
সান নিউজ/এসএ