আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের তালেবানদের সঙ্গে গত বছর কাতারের দোহায় হওয়া শান্তি চুক্তি পুনরায় মূল্যায়ন করতে যাচ্ছে জো বাইডেনের প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কাবুল সরকার।
শনিবার ( ২৩ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নতুন নিযুক্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লাহ মুহিবের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানান মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্ন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন তালেবানের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ, আফগানিস্তানে সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং আফগান সরকার ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে অর্থপূর্ণ আলোচনার বিষয়ে পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন করবে।
আফগান নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপকালে সুলিভান জানান, যুক্তরাষ্ট্র বলিষ্ঠ ও আঞ্চলিক কূটনীতিক প্রচেষ্টায় শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে। যা উভয়পক্ষকে টেকসই ও নায্য রাজনৈতিক মীমাংসা ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
হামদুল্লাহ মুহিবের সঙ্গে জ্যাক সুলিভানের আলোচনার পরপরই এক টুইট বার্তায় আফগান স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী সাদিক সিদ্দিকি বলেন, ‘মার্কিন-তালেবানের ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি চুক্তি পুনরায় মূল্যায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’
আফগানিস্তানে দীর্ঘ প্রায় ২ দশকের সংঘাতের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে তালেবানের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ও মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা বন্ধের শর্তে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সৈন্য প্রত্যাহারে সম্মত হয়।
২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র উগ্রবাদী সংগঠন আল-কায়েদাকে দায়ী করে। আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে দেশটি শাসন করা তালেবান সরকারকে অভিযুক্ত করে মার্কিন সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র বিন লাদেনকে সমর্পণের জন্য বললে তালেবান সরকার তা অস্বীকার করে। তালেবানের অস্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করলে দেশটিতে দীর্ঘ দুই দশকের যুদ্ধ শুরু হয়। সূত্র : আলজাজিরা, আরব নিউজ।
সান নিউজ/এসএ