আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক নিজস্ব যুদ্ধ জাহাজের নকশা তৈরি করা ও রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে নেয়া বড় ৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে তুরস্কের নৌবাহিনী শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
শনিবার ইস্তাম্বুল (এফ-৫১৫) ফ্রিগেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এরদোগান বলেন, তুরস্কের জন্য সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনীতিকভাবে শক্তিশালী হওয়া বাধ্যতামূলক। এটি বাছাই করার কোনও বিষয় নয়।
অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জন্য মিলগেম (এমআইএলজিইএম) করভেট প্রকল্পের অধীনে তৃতীয় একটি জাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এরদোগান তার বক্তব্যে বলেন, তুরস্ক এমন দেশে পরিণত হয়েছে, যে দেশ তার বন্ধু ও মিত্র দেশগুলোর চাহিদা মেটাতে পারে। স্থল ও সমুদ্রযানের ক্ষেত্রেও এই চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। তুরস্কের মতোই পাকিস্তান সঙ্কটপূর্ণ এক অঞ্চলে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হুমকির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে। আমি বিশ্বাস করি উভয় দেশ এই হুমকিকে পরাজিত করতে একে অপরকে সহযোগিতা করবে।’
পাকিস্তানের নৌবাহিনী তুরস্কের মিলিটারি ফ্যাক্টরি এন্ড শিপইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট করপোরেশেরনের (এএসএফএটি) সাথে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ৪টি মিলগেম শ্রেণির জাহাজের জন্য চুক্তি করেছিল। তুর্কি প্রেসিডেন্ট অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, আঙ্কারা তার নিজ শক্তিতে বৈশ্বিক সরবারাহদের চ্যালেঞ্জ ও নিষেধাজ্ঞাকে অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।
সাবমেরিন প্রযুক্তিতেও তুরস্কের এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, নৌবাহিনীতে আরও ৬টি নতুন সাবমেরিন যোগ করা হবে। ২০২২ সালে পিরি রইসের মাধ্যমে এর সূচনা হবে। একইসাথে ড্রোন শিল্পে তুরস্কের অগ্রগতিতে এরদোগান বলেন, মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ড্রোন) তৈরিতে বিশ্বের প্রথম ৩ থেকে ৪টি দেশের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম।
তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল ফ্রিগেটের সাথে সমন্বিত করে কোরকুত লো-আল্টিচুড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের নৌ সংস্করণ হিসেবে গোকদেনিজ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে কাজ করবে তুরস্ক। এ ছাড়া টিসিজি আনাদোলু (এল-৪০০) জাহাজের পরে তুরস্ক নিজস্বভাবে একটি বিমানবাহী রণতরী তৈরির নকশা করবে বলেও জানান এরদোগান। সূত্র : ইয়েনি শাফাক, ডেইলি সাবাহ।
সান নিউজ/এসএ