আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ১৫৫ জন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৮ লাখ ৫ হাজার ২৫১ জনে। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৭ জনে।
সোমবার (৬ মার্চ) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের দেখে রাখার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৫৯ জন এবং মারা গেছেন ৪৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ১২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২৯৮ জনের।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তাইওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩০৭ জন এবং মারা গেছেন ৬০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই ভূখণ্ডটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ১ লাখ ৫ হাজার ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৮ হাজার ২০৩ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আমাদের আরও তদন্ত করতে হবে
জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৩১ জন এবং মারা গেছেন ৫০ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার ২২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭২ হাজার ৭৭১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬৩ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৮ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৪০ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮১৩ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আরও এক মৃত্যু
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
সান নিউজ/এমআর