আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির পুলিশ লাইন্সে বার্ষিক ফায়ারিং ট্রেনিং এর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় এর বিষক্রিয়ায় শ্বাসকষ্টে হাসপাতালে ৭ জনকে আনা হয়েছে। এরমধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ৪ জন, বাকি ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : শিক্ষিত জাতিতে পরিনত করতে চেয়েছিলেন
তারা হলেন, শহরের খাগড়াপুর এলাকা থেকে এনি ত্রিপুরা (২৯), সীমা রানী ত্রিপুরা (৪২), এবং শালবাগান এলাকা থেকে আবদুল বারেক (৬০) নামে এক ব্যক্তি।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন শ্রাবন্তী ত্রিপুরা(১৫), বিকি ত্রিপুরা (২৫),জেবলী ত্রিপুরা (৩৫), শেফালী ত্রিপুরা (৩৫)।
আরও পড়ুন : স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাত ভেঙে দিল দুর্বৃত্তরা
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের বলেন, আতঙ্কিত ও ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। যারা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তারা সকলেই ঝুঁকি মুক্ত,তারা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের বার্ষিক ফায়ারিং অনুশীলন চলছে।
আরও পড়ুন : শীতে কাঁপছে শ্রীমঙ্গল
অনুশীলনে টিয়ারশেলের গ্যাসে এমনটি হতে পারে। যারা অসুস্থ হয়েছেন তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছি প্রতিনিয়ত। এতে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকার আহবান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্সে বার্ষিক গ্যাস ফায়ারিং অনুশীলন কার্যক্রমে ১৪১টি টিয়ার সেল ফাটানো হয় ।
আরও পড়ুন : গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সদর থানার ওসি বলেন, পুলিশ লাইন্সে পুলিশের ফায়ারিং অনুশীলনে টিয়ারশেল লিকেজ হওয়ায় নির্গত গ্যাসের বিষক্রিয়ায় শহরের আশপাশের কয়েকটি এলাকায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এর মধ্যে কয়েকজন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের চোখ, মুখ জ্বালাপোড়া এবং বমি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : বন্ধ হচ্ছে না পাখি শিকার!
প্রশাসনের দাবি, পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রের অনুশীলনে টিয়ারশেলসহ অন্যান্য অস্ত্রের নির্গত গ্যাসের কারণে এমনটা হতে পারে। তবে এ ঘটনায় কোন পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়নি ।
আতঙ্কিত এলাবাসীরা জানান, পূর্ব থেকে কোন ঘোষণা ছাড়াই খাগড়াপুর পুলিশ লাইনে টিয়ার গ্যাস ফায়ারিং করার কারণে আমাদের টিলাসহ চারপাশের ২-৩টি টিলার লোকজনের চোখে-মুখে জ্বালা-পোড়া হওয়ার কারণে সবাই বাসা থেকে বেড়িয়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
আরও পড়ুন : রাজধানীতে যাত্রীদের পেটালেন বাসচালক
জানা যায়, রাত প্রায় সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের খাগড়াপুর, শালবাগানসহ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে।
এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখ নাক জ্বালাপোড়া ও বমিসহ নানা অসুস্থতা দেখা দেয়। স্থানীয়রা সবাই ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। গ্যাসের বিষক্রিয়া বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
সান নিউজ/এইচএন