সংগৃহীত ছবি
আন্তর্জাতিক

গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিমান থেকে লিফলেট ফেলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা শহরের সমস্ত বাসিন্দাকে মধ্য গাজা উপত্যকায় সরে যেতে বলেছে।

আরও পড়ুন: ভারতে এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা, নিহত ১৮

বুধবার (১০ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে বিবিসি বলছে, গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী কয়েকটি জেলায় পুনরায় প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিশ্বাস, হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা চলতি বছরের শুরু থেকে সেখানে পুনরায় সংগঠিত হয়েছে।

এসব লিফলেটে গাজাকে ‘বিপজ্জনক যুদ্ধ অঞ্চল’ হিসাবে বর্ণনা করে ‘গাজা শহরের প্রত্যেককে’ নির্দিষ্ট নিরাপদ রুটের মাধ্যমে এলাকা ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ইসরায়েলি বাহিনী দুটি রাস্তাও উল্লেখ করেছে যা দেইর আল-বালাহ এবং আল-জাওয়াইদাতে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে গেছে। মূলত গাজা শহরে এখনও আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন।

অপরদিকে জাতিসংঘ বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গাজা শহরকে সম্পূর্ণভাবে খালি করতে নির্দেশ দিলো ইসরায়েল।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ তাপপ্রবাহে যুক্তরাষ্ট্র

হামাস বলেছে, গাজা শহরে ইসরায়েলের নতুন এসব কার্যকলাপ সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনাকে ব্যর্থ করার হুমকি দিচ্ছে। যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা বুধবার কাতারে পুনরায় শুরু হয়েছে। আলোচনায় মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধানের পাশাপাশি কাতারের প্রধানমন্ত্রীও অংশ নিয়েছেন।

বিবিসি বলছে, গাজা শহরে এখনও এক-চতুর্থাংশেরও বেশি লোক বসবাস করছে বলে অনুমান করা হয়েছে - এবং কিছু লোককে দক্ষিণে সরে যেতে দেখা গেছে। অন্য অনেকেই যদিও শহর ছাড়তে রাজি নয়।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, তারা কিছু বাসিন্দাদের কাছ থেকে কল পেয়েছে যারা বোমা হামলার তীব্রতার কারণে তাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে পারেননি।

আইডিএফ আরও বলেছে, তারা গত দিনে গাজা শহরের পূর্ব শেজাইয়া জেলায় কয়েক ডজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ গুড়িয়ে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে বক্তৃতায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দাবি করেছেন, ইসরায়েলের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ৬০ শতাংশ হামাস যোদ্ধা নিহত বা আহত হয়েছেন। বিবিসি অবশ্য স্বাধীনভাবে এই পরিসংখ্যান যাচাই করতে পারেনি।

সান নিউজ/এএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

তারেক রহমানের জন্মদিনে মুন্সীগঞ্জে শীতবস্ত্র বিতরণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ...

বিলুপ্তপ্রায় টকপাতা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে

বসতবাড়ির পাশে প্রায়ই দেখা যায় টকপাতা। পাতা ও ফল টক স্বাদযুক্ত গাঢ় লাল বর্...

ফের ভূমিকম্পে কাঁপলো গাজীপুর

গাজীপুরের বাইপাইল এলাকায় আজ শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে ৩.৩ মাত্রার...

মুন্সীগঞ্জ-১: মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে তিন নেতার সমাবেশ ও বিক্ষোভ

মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দা...

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

নোয়াখালীর কবিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। শ...

মুন্সীগঞ্জ শহরে সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন, হরতালের হুশিয়ারি

মুন্সীগঞ্জ পৌর এলাকার রাস্তা-ঘাট সংস্কারের দাবিতে...

মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া টেকসই জাতি গঠন সম্ভব নয়: ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম

শিক্ষার মান উন্নয়ন ছাড়া টেকসই জাতি গঠন সম্ভব নয়&md...

মুন্সীগঞ্জ-১: মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে তিন নেতার সমাবেশ ও বিক্ষোভ

মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দা...

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

নোয়াখালীর কবিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। শ...

মামদানির প্রজ্ঞা ও কৌশলিক নেতৃত্বে অবাক ট্রাম্প, সমর্থন প্রকাশ

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা