নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢামেক: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ যাত্রীদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে যান তিনি।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল তিনটার পরে দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে দুজনকে ও পরে আরও তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। তারা হলেন, জেসমিন আক্তার (৩৫), তার ছেলে তানিম হাসান (০৮), বাচ্চু মিয়া (৫০) ও তার মেয়ে সাদিয়া (২০)। অন্যজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন এখানে এসেছেন। এদের মধ্যে জেসমিন আক্তারের শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে ও তার ছেলে তানিম হাসানের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক ও মায়ের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানান তিনি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অন্য তিনজনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি পার্থ শংকর পাল।
পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, লঞ্চে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। ইঞ্জিনে আগুন লেগেছিল, ৩৫ জন মারা গেছে। আরও বাড়তে পারে। সবার পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে আহত সবাইকে সরকারিভাবে একসাথে ঢাকায় আনা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি বড় ঘটনা। ঢাকা মেডিকেলের সবাই আশঙ্কাজনক। এছাড়া বরিশালে ৭৬ জন আছেন, তারা বেশি আশঙ্কাজনক না, বরিশালে চিকিৎসা সেবা যেনো ঠিক মতো হয় সেজন্য ৭জনের চিকিৎসক দল ও ওষুধ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ৫ ডিভিশনে আধুনিক বার্ন ইনস্টিটিউটের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে শতাধিক যাত্রী দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। বৃদ্ধ, শিশুসহ অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। লঞ্চে প্রায় আট শতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/মোস্তাফিজ/এমকেএইচ