আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চাকা সঙ্কটের কারণে সক্রিয় করা যাচ্ছে না একটি কোচ। ফলে যাত্রী পরিবহনের জন্য নন এসি এ কোচটি পড়ে আছে কারখানায়। এমন তথ্য জানা গেছে রেলওয়ে কারখানার একটি সূত্রে।
সূত্রটি জানায়, ২০১৬ সালে ব্রডগেজ (বড়) লাইনের জন্য ৫০টি কোচ আমদানি করে সরকার। অত্যাধুনিক এসব রেল কোচ নির্মাণ হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন রেলওয়ে ক্যারেজ নির্মাণ কারখানা পিটি ইন্ডাজট্রিজ কেরেতা এপিতে (পিটি ইনকা)।
ওই বহরে চারটি নন এসি কোচও ছিল। প্রতিটি কোচে ২৩টি শয়ন আসন আছে। শুরুতে এসব রেলকোচ চিলাহাটি-ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ও ঢাকা-দিনাজপুর রুটে দ্রুতযান ও একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে যুক্ত ছিল।
যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দেওয়ায় ২০১৯ সালে মেরামতের জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই কোচগুলো সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোতে যুক্ত না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এর যাত্রীরা। নিয়মিত রেলে যাতায়াত করেন ব্যবসায়ী আতাহার হামিদ।
আরও পড়ুন: আবারও উত্তপ্ত এফডিসি
তিনি জানান, রেলওয়ের টিকিট এখন সোনার হরিণ। এ অবস্থায় গত তিন বছর ধরে নন এসি কোচ না থাকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে। তিনি দ্রুত ওইসব কোচগুলো নির্দিষ্ট ট্রেনে যুক্ত করার দাবি জানান।
কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) জয়দুল ইসলাম বলেন, মেরামতের পর এরই মধ্যে তিনটি কোচ রেলের পরিবহন শাখায় হস্থান্তর করা হয়েছে। আর একটি কোচের মেরামত শেষ হলেও চাকা সঙ্কটের কারণে তা হস্থান্তর করা যাচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ