নিজস্ব প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: করোনা মহামারির কারণে বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। আর এই সুযোগে কুড়িগ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে ধান রাখছেন এক ব্যবসায়ী। মূলত শ্রেণিকক্ষগুলো ধানের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি। সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে অবস্থিত সাতদরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই বিদ্যালয়টির তিনটি শ্রেণিকক্ষে শিশুদের বসার বেঞ্চ গুটিয়ে রেখে ধান মজুত রাখা হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাগ্নে কামরুজ্জামান ওই ধান রেখেছেন। তবে এ ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।
প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ধান রাখার বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি কিছু দিন বিদ্যালয়ে যেতে পারিনি। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ধান সরানোর ব্যবস্থা নিয়েছি।’
এই প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি কামরুজ্জামানের বাড়িতে থাকা ধানে পোকা ধরেছে। তাই ধান শুকানোর জন্য বিদ্যালয়ের মাঠটি ব্যবহার করছেন তিনি। বৃষ্টির কারণে শ্রেণিকক্ষে ধান রাখা হয়েছে।’
তবে প্রধান শিক্ষকের এমন দাবির সত্যতা মেলেনি।
স্থানীয়রা বলছেন, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ধান মজুদ করে তা বিক্রি করছেন কামরুজ্জামান।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, করোনাকালীন বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তবে সরকারি নির্দেশ মতে বিদ্যালয় খোলার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এরপরও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ধান মজুদ রাখতে দেওয়া ওই প্রধান শিক্ষকের সম্পূর্ণ দায়িত্ব অবহেলার শামিল। ওই প্রধান শিক্ষককে তলব করা হবে।’
সান নিউজ/ এমবি