ফিচার

কেরানীগঞ্জে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের লঞ্চ ও জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ঐতিহাসিকভাবে সত্য কথাটি প্রচলিত ধারার মতোই বাস্তবে এই বুড়িগঙ্গা নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্ব স্ব উদ্যোগে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ পোশাক, লোহ এবং জাহাজ নির্মাণের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

রাজধানী ঢাকার কোলঘেঁষে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে কেরানীগঞ্জ, কালিগঞ্জ, হাসনাবাদ ও জাজিরা এলাকায় ৮০টি ডক-ইয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানে আধুনিক জাহাজ ও ৩ তলা বিশিষ্ট মেঘা লঞ্চ। প্রতিবছর এসব ডক থেকে শতাধিক লঞ্চ ও জাহাজ তৈরি হচ্ছে। এসব ডগ থেকে সরকার প্রায় কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করছে।

ডক-মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেনের দাবি, সরকার পরিকল্পিতভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা অথবা মুন্সিগঞ্জ জেলার মেঘনা নদীর পাড়ে ডকইয়ার্ডগুলোকে স্থানান্তর করে দিলে ডক মালিকরা আরও বিশ্বমানের জাহাজ তৈরি করতে পারবে। এর মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্পের মতো জাহাজ শিল্প থেকেও সরকার বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে।

১৯৫২ সালে পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাটি থানার লঞ্চ ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান ঢাকার কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ এলাকায় রহমান ডকইয়ার্ডে প্রথম এমভি যুগ্ন নামে একটি দেড় তলা কাঠবডি লঞ্চ তৈরি করে ঢাকা ও পিরোজপুর জেলায় যাত্রীসেবায় শুরু করেন।

পরবর্তীতে জাহার এ রহমান নামে একটি শিপ ডকে এনে কাটিং করে এম ভি সামাদ লঞ্চ নামে নামকরণ করেন। পরে তা ঢাকা থেকে বরিশাল নৌরুটে যাত্রী-পরিবহন শুরু করে। ১৯৭২ সালে এ রহমান ডকে তৈরি করা হয় ২তলা বিশিষ্ট কাঠবডি লঞ্চ এমভি জলকপোত, এমভি নীলাম্বরী ও এমভি বসুন্ধরা।

১৯৮২ সালে রহমান ডকইয়ার্ড থেকে তৈরি করা হয় স্টিলবডির ২তলা বিশিষ্ট ১১টি লঞ্চ। উচ্চগতি সম্পন্ন এসব লঞ্চ চাঁদপুর, বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা ও পটুয়াখালী নৌরুটে যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই এক এক করে কেরানীগঞ্জের ৮০টি ডক ইয়ার্ড থেকে গত ৬০ বছরে ১২০০ জাহাজ ও ৪৫০ টি লঞ্চ তৈরি হয়েছে।

বর্তমানে কেরানীগঞ্জের ডক থেকে তিনতলাবিশিষ্ট আধুনিক লঞ্চ এম ভি সূরভী, এমভি সুন্দরবন, এমভি পারাবাত, এমভি রাসেল, এমভি কাজন, এমভি এডভেঞ্চার ও এমভি গ্রিনল্যান্ডসহ আরও ৩০ থেকে ৪০টি ৩তলা বিশিষ্ট বিলাশবহুল লঞ্চ ও জাহাজ নির্মাণ কাজ চলছে, যেখানে কাজ করছেন প্রায় ৬ হাজার জাহাজ নির্মাণ শ্রমিক।

নির্মাণ শ্রমিক বাবুল জানান, উন্নত বিশ্বের মতো প্ল্যানিং ও ড্রইং করে মেশিন কাটিংয়ের মাধ্যমে জাহাজ ও রণতরী নির্মাণ করা হয়। আমাদের দেশে আমরা সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তাদের মতো লঞ্চ ও জাহাজ তৈরি হচ্ছে। বিদেশি একটি জাহাজ তৈরি খরচ পড়ে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকা।

সেখানে আমরা একই মানের জাহাজ তৈরি করছি ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকায়। আর এ কারণে অর্ধেক দামে আমারা জাহাজ দিতে পারছি। ডক মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন জানান, বুড়িগঙ্গা নদীতে দিনদিন নৌযান চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় কেরানীগঞ্জ থেকে ডক ইয়ার্ড সরিয়ে নিতে ৮০টি ডগকে চাপসৃষ্টি করে আসছে বিআইডব্লউটিএ।

সেক্ষেত্রে সরকার যদি নারায়ণগঞ্জ জেলা অথবা মুন্সীগঞ্জ জেলার মেঘনা নদীর পাড়ে আমার ডগগুলো পরিকল্পিতভাবে সরিয়ে নিতে দেয়, তাহলে আমাদের জাহাজ শিল্প থেকে সরকার আরও কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে পারবে।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

হিটস্ট্রোকে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রা...

আইনি সেবায় মানবিকতাকেও স্থান দেয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনি সেবা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ড সফর শেষে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে...

ডিপিএস এসটিএস স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা