ফিচার

ফুলছড়িতে কচুরিপানায় তৈরি দৃষ্টিন্দন হস্তশিল্প

নিজস্ব প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় কচুরিপানা দিয়ে বাহারি ও দৃষ্টিনন্দন হস্তশিল্পের বিভিন্ন সামগ্রি তৈরি করছেন এলাকার নারীরা। কচুরিপানা অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল উদ্ভিদ বলে মনে করেন। কিন্তু এই কচুরিপানা দিয়ে বাহারি হস্তশিল্পের নকশা করে দৃষ্টি কেড়েছেন সুভাষ চন্দ্র।

সুভাষ চন্দ্র বর্মণ জানান, শুকনো কচুরিপানার ডাঁটা দিয়ে ব্যতিক্রমী হস্তশিল্প তৈরি করছেন তিনি। প্রতি মাসে অন্তত ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার কচুরিপানা কিনে থাকেন। নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন কচুরিপানা কেন্দ্রিক ৪টি হস্ত ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান। যেখানে গ্রামের আড়াই শতাধিক নারী ও কিশোরী কাজ করেন। যাদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হয় নজরকাড়া ফুলের টব, ব্যাগ, বালতিসহ বাস্কেট নিত্য নতুন জিনিসপত্র।

তবে এসব পণ্যের চাহিদা দেশে কম থাকলেও রফতানি হয় আমেরিকা নেদারল্যান্ডসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে।

ফুলছড়ি উপজেলার মদনেপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। গ্রামের নারী ও কিশোরীরা এক সঙ্গে বসে কচুরিপানার ডাঁটা দিয়ে তৈরি করছেন নানা ধরনের সৌখিন পণ্য। সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে বাড়ির সব কাজ শেষ করে নারীরা নেমে পড়েছেন এই কাজে। সেই সঙ্গে কিশোরীরাও যোগ দিয়েছেন।

কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করছেন ব্যাগ, বালতি, ফুলের টবসহ নিত্য নতুন সৌখিন পণ্য। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অবসর সময়টা এভাবেই কাটছে শিক্ষার্থীদের। এতে করে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজের খরচ ছাড়াও মাস শেষে ৮ থেকে ১০হাজার টাকা আয় করছেন শিক্ষার্থীরা। এখানে কাজ করতে আসা জাফরিন বেগম নামে এক গৃহিণী বলেন, সংসারের কাজ শেষ করে শুকনো কচুরিপানার ডাঁটা দিয়ে ফুলের টব বানাতে আসি।

দৈনিক ৭ থেকে ৮ টা টব বানাই। এখানকার আয় থেকে নিজের খরচ মেটানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে সংসারেও দিতে পারছি। ফুলমিরা রানী নামে আরেকজন বলেন, বাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় অনেক সুবিধা হয়েছে। বাড়ির কাজ করতে কোনও সমস্যা হয় না। সংসারে বাড়তি আয় হওয়ায় আমরা অনেক খুশি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কিশোরীরাও এখানে কাজ করে বাড়তি আয় করছে। কলেজছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে বসে অবসর সময় কাটছিল। সেই অবসর সময়টাকে কাজে লাগাতে প্রথমে কাজটা শিখে এখন দৈনিক দেড়শ থেকে দুইশ টাকা আয় করতে পারছি।

তবে সুভাষ চন্দ্র বর্মণ বলেন, প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করি। এখন জেলার ৪টি পয়েন্টে আড়াই শতাধিক নারী ও কিশোরী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাদের প্রতিদিন মজুরি দিতে হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে সরকারি ঋণ সহায়তা পেলে কচুরিপানার এই হস্ত ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানটি আরও বড় পরিসরে গড়ে তোলা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সান নিউজ/এসএ/

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জামায়াত-এনসিপি অসন্তুষ্ট

শুধু মাত্র একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করা...

তারেক- ইউনূসের যৌথ বিবৃতিতে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে- নাখোশ জামায়াত

তারেক- ইউনূসের যৌথ বিবৃতিতে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করে জামায়াত। লন্...

ড্রয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু মেসির মায়ামির

নতুন কিছু প্রযুক্তি সংযোজনের মাধ্যমে জমকালো উদ্বোধ...

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়‌কে ১৪ কি‌লো‌মিটার জুড়ে যানজট

পবিত্র ইদুল আযহার ছুটি প্রায় শেষ। তাই সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ একটু বেশি। ঢাকা...

বান্দরবানে পর্যটকের মৃত্যু, ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের প্রধান গ্রেপ্তার

বান্দরবানের আলীকদমে পর্যটক নিহতের ঘটনায় অনলাইনভিত্তিক ট্রাভেল গ্রুপ ‘ট্...

আর দেরি নয়, তামাক নিয়ন্ত্রণে এখনই পদক্ষেপ দরকার

জনস্বার্থে ন্যায্য ও সময়োপযোগী প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে দেশের ত...

ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ইসি যে সময় ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে সে সময়ের জন্য প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী&rs...

হঠাৎ উত্তপ্ত প্রেস ক্লাব, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

গণজমায়েতের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে প্রব...

যদি ইসরায়েল থামে তবে আমরাও থামবো: ইরান

ইরান-ইসরায়েল চলমান পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছ...

ইসরায়েলের টার্গেট আয়াতুল্লাহ খামেনি: প্রতিবেদন

বিশ্ববাসির নজর এখন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের দিকে; দুদেশকে নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেশন চ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা