সান নিউজ ডেস্ক: ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার ওপর গনগনে সূর্য এমন দাপট দেখাচ্ছে যে, মানুষ তো বটেই, ভুগছে প্রাণপ্রকৃতিও।
আরও পড়ুন: আমরা মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমিয়েছি
তাপপ্রবাহ এখন দেশের প্রায় সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, গরমের তেজ আগামী কয়েক দিনে ৪০-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছুঁতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শামিনা আক্তার জানিয়েছেন, চলতি মাসের ১৮-২০ এপ্রিলের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং ২১-২২ এপ্রিল বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে অস্ত্রধারীদের হামলায় নিহত ৯
এ ছাড়া রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগসহ নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গাতে ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাজারহাটে সর্বনিম্ন ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, যে তাপপ্রবাহ চলছে, তা নিয়ে আমরা সতর্কবার্তা দিয়েছি। এখন যে তাপপ্রবাহ চলছে, তাকে আমরা মৃদু থেকে মাঝারি বলছি। কিন্তু যখন তাপমাত্রা ৪০-৪২ ডিগ্রিতে চলে যাবে, তখন সেটি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ কারণেই সতর্কবার্তা দেওয়া।
এদিকে এমন বৈরী আবহাওয়া ফসলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের জমি রোদে শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে সেচের পানির সংকট। এ সময়ে কৃষি ও ফসলের সুরক্ষায় বেশ কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সান নিউজ/এনকে