সান নিউজ ডেস্ক : চলে গেলেন না ফেরার দেশে কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
আরও পড়ুন : সীমান্তে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ, নিহত ১৯
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে উপল।
সংগীত শিল্পী মোমিন বিশ্বাস জানান, আজ ভোরে বাথরুমে পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এখন তার মরদেহ হাসপাতালেই আছে। এরপরে রাজধানীর বারিধারার বাসায় তার মরদেহ রাখা হবে৷
দীর্ঘ ছয় দশক ধরে বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
আরও পড়ুন : মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
২০০২ সালে গীতি কবিতায় অবদান রাখার জন্য একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়া অসংখ্য কালজয়ী গানের এই গীতিকার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’।
কিংবদন্তি গীতিকারের লেখা কালজয়ী গানগুলো হলো ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’ প্রভৃতি।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০০
প্রসঙ্গত, ১৯৪৩ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন ২০ হাজার গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন।
আরও পড়ুন : অস্ত্রসহ সাবেক ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার
১৯৬৭ সালে প্রথম চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন। চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা দেখান তিনি।
১৯৮২ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র নান্টু ঘটক। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৪১।
সান নিউজ/এইচএন