সান নিউজ ডেস্ক : হিন্দি চলচ্চিত্রে সফল কর্মজীবনের মাধ্যমে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী বলিউড সুপারস্টার আমির খান। মাত্র আট বছর বয়েসে ইয়াদোঁ কি বারাত (১৯৭৩) এবং মাদহোশ (১৯৭৪) শিশু অভিনেতা হিসাবে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংলাপে ঢাকা-রিয়াদ
সোমবার (১৪ মার্চ) ৫৭তম জন্মদিন ছিল আমির খানের। নিজের জন্মদিনে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, একবারে গোটা একটি মদের বোতল একাই শেষ করতেন। নিজের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না তার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুঝতে পারলেন মদ্যপান ছাড়তেই হবে। নেশায় বুঁদ হয়ে থাকলে মানুষ এমন কিছু করে ফেলে বা বলে ফেলে যার জন্য পরে আক্ষেপ করতে হয়। সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চান না আমির। যদিও মিস্টার পারফেকশনিস্টএর কথায়, মারাত্মক কিছু ঘটাইনি অবশ্য। তাও নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা খুব দরকার।
এছাড়া রাওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ, রীনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদ, তিন সন্তান, আজাদ, জুনেইদ ও ইরাকে নিয়ে মন খুলে কথা বললেন আমির খান।
নিজের মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই আছে, যারা রোজ দুই পেগ খেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যান। আমি সে রকম ছিলাম না। খাওয়া শুরু করলে থামতে পারতাম না। রোজ খেতাম না। মাঝেমধ্যে খেতাম। এতেই ওই অবস্থা হতো।
আমির খান বলেন, পরে আমি বুঝতে পারলাম, নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে, নিয়ন্ত্রণে থাকতে গেলে এ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। প্রতিজ্ঞা করলাম, জীবনে আর কোনো দিন মদ্যপান করবেন না। নিজেকে দেওয়া কথাও রাখলাম।
আরও পড়ুন: সপ্তাহ ব্যবধানে কমল সোনার দাম
আমির রীনা দত্ত নামের এক তরুণীকে ১৯৮৬ সালের ১৮ই এপ্রিল বিয়ে করেন, এই রীনা কেয়ামত সে কেয়ামত তক চলচ্চিত্রের একটি গানে কিছুক্ষণের জন্য অভিনয় করেছিলেন। তাদের জুনায়েদ নামের একটি পুত্র এবং ইরা নামের একটি মেয়ে হয়। রীনা আমিরের চলচ্চিত্র লগান এর প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছিলেন। ২০০২ সালের ডিসেম্বরে আমির রীনাকে তালাক দেন এবং জুনায়েদ এবং ইরার দায়িত্ব রীনা নেন।
সাননিউজ/এমআরএস