সান নিউজ ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেতাদের নেতা জায়েদ খান। হাইকোর্টে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণার পর বুধবার (২ মার্চ) প্রায় এক মাস বাদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) প্রবেশ করলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি সমিতিতে যান। কিন্তু সমিতির গেটে তালা থাকায় ঢুকতে পারেননি এ নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন জায়েদ খান।
জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, দিন শেষে কিন্তু আমি নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। অন্যভাবে কিংবা অন্যায়ভাবে আমি সাধারণ সম্পাদক হইনি। হাইকোর্ট কিন্তু তার পূর্ণাঙ্গ রায়ে আমাকেই নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন। এখন এখানে এসে দেখেছি গেটে তালা। ব্যাপারটি দুঃখজনক। আমি কাঞ্চন ভাইকে জানিয়েছি। সিনিয়র অন্য শিল্পীরাও আসছেন। তারা আসলে সবাইকে নিয়ে কাজ করার প্ল্যান করবো।
জায়েদ খান আরও বলেন, আমি বিভিন্ন ঝামেলায় আটকে ছিলাম। আমার বোন অসুস্থ ছিলো। সব মিলিয়ে আসা হয়নি।
আরও পড়ুন: আমি ন্যায়বিচার পাইনি, আপিল করব
এর আগে, দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণাকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত।
এই রায়ের ফলে আজ থেকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের বসতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন জায়েদ খানের আইনজীবী।
এমন রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান হাইকোর্টে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, ‘রায়ে আমি খুশি, প্রথমে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই, এর পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই; কেননা তাঁর শাসনামলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমি আইনজীবী, মিডিয়া, ভক্ত সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’
জায়েদ খান বলেন, ‘আমার কার্যক্রম, জনপ্রিয়তা তাদের ঈর্ষার কারণ। তারা আবার আটকানোর চিন্তা করবে এই রায়কে। তারা প্রক্রিয়া চালাবে শুধু কাজ বন্ধ করে। আমি যে নির্বাচিত, আমাকে যে দুই বছর কাজ করতে দেবে, সেটা না দিয়ে এটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে।’
আরও পড়ুন: ভক্তরা আমার জন্য রোজা রেখেছেন
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এ রুল শুনানি শুরু হয়। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এরপর আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে একই পদে জয়ী ঘোষণা করে।
পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
পরে ৮ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত।
সান নিউজ/এনকে