বিনোদন ডেস্ক: বরেণ্য অভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক আলী যাকেরকে হারানোর এক বছর। গত বছরের ২৭ নভেম্বর এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সাথে লড়াই করছিলেন, মৃত্যুর দুদিন আগে করোনাতেও আক্রান্ত হন তিনি।
আলী যাকের ১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার (বর্তমানে জেলা) রতনপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। মাহমুদ তাহের ও রেজিয়া তাহেরের চার সন্তানের মধ্যে যাকের ছিলেন তৃতীয়। পিতার সরকারি চাকরির সুবাদে তিনি কুষ্টিয়া ও মাদারীপুরে শৈশব অতিবাহিত করেন।
আলি যাকের ১৯৬০ সালে সেন্ট গ্রেগরিজ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হন।
তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকে সমান জনপ্রিয়। ‘বহুব্রীহি’, ‘আজ রবিবার’সহ বহু নাটকে তার অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে। মঞ্চেও আলী যাকের এক জাদরেল অভিনেতার নাম।
একই সঙ্গে দেশীয় বিজ্ঞাপনশিল্পের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির কর্ণধার তিনি। তার সহধর্মিণী সারা যাকেরও একজন অভিনেত্রী। তাদের ছেলে ইরেশ যাকের অভিনেতা ও প্রযোজক হিসেবে সমাদৃত। মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া একজন আরজে হিসেবে পরিচিতি পেলেও তিনি অভিনয়ও করেছেন কিছু নাটকে।
শিল্পকলায় অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার আলী যাকেরকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন।
সান নিউজ/এনকে