বিনোদন ডেস্ক: প্রেমের কারণে গুপ্তচর থেকে মডেল ও পর্যটক হয়ে উঠেন এক তরুণী। ঘটনাক্রমে যেই ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন তারই প্রেমে পড়ে যান তিনি। রহস্যময় জীবনের সেই কাহিনিই জানিয়েছেন সাবেক রাশিয়ান গুপ্তচর এই তরুণী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান’র এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সাবেক কমিউনিস্ট রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নে আলিয়ার জন্ম। বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। তাকে সেখানে একজন যৌনকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কিভাবে একজন পুরুষকে যৌন আবেদন সৃষ্টির মাধ্যমে ফাঁদে ফেলতে হয় তা শেখানো হতো। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক একাডেমিতে মূলত গোপন তথ্য উদ্ধার করা শেখানো হতো।
প্রথম মিশনে আলিয়াকে যৌনকর্মী সাজতে হয়েছিল। এ সময় তিনি একটি বড় সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের প্রধানকে ফাঁদে ফেলে তার মাদক কারবার সম্পর্কে তথ্য উদ্ধার করেছিলেন। তবে এমন এক টার্গেটকে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে তার প্রেমে পড়ে যান আলিয়া ২০০৪ সালে।
আলিয়া বলেন, সে সময় তার সঙ্গে আমি এমন জীবন পার করেছি যা ছিল আমার জন্য স্বপ্ন। টার্গেটকে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে তার জন্য নিজের ক্যারিয়ার ছেড়ে সন্ত্রাসের দুনিয়ায় চলে গিয়েছিলাম।
আলিয়া আরো জানান, ভ্লাদিমির নামের ওই টার্গেটকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। আমি সন্ত্রাসীদের মধ্যেই ডুবেছিলাম সে সময়। ভ্লাদিমিরের দল যদিও টের পেয়ে যায় বিষয়টি ৯ মাসের মধ্যেই। তবু আমার জীবন বাঁচিয়েছিল ভ্লাদিমিরই।
এদিকে ভ্লাদিমির নামের ওই টার্গেটের প্রেমে পড়ে আলিয়াকেও তখন রাশিয়ান পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে প্রায় এক বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল মস্কোতে। এরপর ২০০৬ সালে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে একজনকে বিয়ে করেন আলিয়া।
পরবর্তীতে ভ্লাদিমির নিজের গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতেই মারা যায়। ভ্লাদিমির মারা যাওয়ার আগে সে তার কিছু বন্ধুর ফোন নম্বর দিয়ে গিয়েছিল আলিয়াকে।
বর্তমানে ফ্যাশন জগতের মানুষ ৩৬ বছর বয়স্ক আলিয়া রোজা। বিশ্বের বড় বড় তারকার সঙ্গে তার ওঠাবসা এখন। টার্গেটের প্রেমে পড়েই এভাবে বদলে যান তিনি। লন্ডন, ক্যালিফোর্নিয়া ও মিলানে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করেন তিনি।
সাননিউজ/এএসএম