রাজেশ কুমারকে বেশির ভাগ মানুষ চেনেন ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ধারাবাহিকে রোশেশ চরিত্রে অভিনয় করার জন্য। তবে বেশ কয়েক বছরে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন অভিনেতা। দারিদ্র্যে কেটেছিল দিন। অবশেষে মোহিত সুরির আলোচিত সিনেমা ‘সাইয়ারা’ পাল্টে দিল অভিনেতার জীবন।
সম্প্রতি মেরি সহেলিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাজেশ বলেন, ‘আমি একটা সময় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলাম। দুই কোটি রুপি ঋণে ডুবে গিয়েছিলাম আমি। দেউলিয়া সত্যিই একটা বড় শব্দ, আমি সেই অবস্থার মধ্যেই গিয়েছিলাম। আমার অ্যাকাউন্টে মাত্র আড়াই হাজার রুপি ছিল।’
রাজেশ আরও বলেন, ‘তখন সংবাদমাধ্যমে আমাকে নিয়ে লেখালেখি হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আমি অভিনয় ছেড়ে দিয়ে চাষবাস করছি। ব্যাপারটা সত্যি হলেও আমি কিন্তু হাল ছেড়ে দিইনি। আমার পরিবার ও বন্ধুবান্ধব আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিল, তাই আমি আবার ফিরে আসতে পেরেছি।’
‘সাইয়ারা’ ছবি ছাড়াও রাজেশ অভিনয় করেছেন ‘কোটা ফ্যাক্টরি’, ‘ইয়ে মেরি ফ্যামিলি’, ‘হাদ্দি’, ‘রাউতু কা রাজ’, ‘তেরি বাতোঁ মে আইসা উলঝা জিয়া’, ‘বিন্নি অ্যান্ড ফ্যামিলি’সহ একাধিক প্রকল্পে। মোহিত সুরি পরিচালিত ‘সাইয়ারা’ ছবিতে রাজেশ অনিত পদ্দার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ছবিটি সমালোচক এবং দর্শক উভয়ের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে, যার ফলে অনিত পদ্দা ও আহান পান্ডে রাতারাতি তারকায় পরিণত হয়েছেন। রোমান্টিক মিউজিক্যাল ড্রামাটি এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৪৫০ কোটি আয় করেছে, যা এটিকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয়কারী রোমান্টিক ছবি করে তুলেছে।
সাননিউজ/এসএ