বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় ঢাকার কেরাণীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের জন্য বাকি ১১ একর জমি দিয়েছে।
আরও পড়ুন : কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজে ভর্তি শুরু
ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়টি এর মাধ্যমে প্রস্তাবিত ২০০ একর জমি পেল।এর আগে ১৮৮.৬০ একর অধিগ্রহণের মাধ্যমে জমি বুঝে পায় জবি।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে 'কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির এক সভা হয়।
আরও পড়ুন : প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরাসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় আমাদের প্রস্তাবিত ২০০ একরের ক্যাম্পাসের জন্য বাকি ১১.৪০ একর জমি পাশ করা হয়।
কোন দিক থেকে জমি নেয়া হবে জানতে চাইলে প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন বলেন, পদ্মা রেল প্রকল্পের পাশে ক্যাম্পাসের ভিতর মালিকানা জমি ছিল। সেটা নেওয়া হবে।
এছাড়া মুজাহিদনগরের পাশে অবস্থিত জমি নেওয়া হবে। এর জন্য সার্ভে করা হবে। জুনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে জমি অধিগ্রহণ করার জন্য আমি জেলা প্রশাসনকে বলেছি।
আরও পড়ুন : ২ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ২৫০ অসঙ্গতি শনাক্ত
তিনি আরও বলেন, জমি ক্রয়ের জন্য আমাদের এখন টাকা আছে। তবে জুনে টাকা ব্যাক করবে। তার আগে যেন আমরা জমি কিনতে পারি সেটার জন্য জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।
এদিকে অধিগ্রহণ অসম্পূর্ণ থাকায় দীর্ঘদিন থমকে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরসহ নানা উন্নয়ন কাজ। এবার সব কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এ বিষয়ে বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সুখবর যে বাকি ১১ একর জমি আমরা পেয়েছি। এই জমি পেতে আমরা ভুমি মন্ত্রণালয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছি।
আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ জমি পাশ করা হয়। এবার অধিগ্রহণসহ দ্রুত কাজ শেষ হলে আমাদের নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে পুরান ঢাকার সদরঘাটে জগন্নাথ কলেজ ক্যাম্পাসে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এরপর ক্যাম্পাসের জায়গা স্বল্পতা ও হল আন্দোলনের মুখে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গরূপে আধুনিক নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন : গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু
২০১৭ সালে একনেক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ একরের নতুন ক্যাম্পাসের অনুমোদন পায়। তবে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ১৮৮ দশমিক ৬০ একর জমি বুঝিয়ে দেয় ঢাকার জেলা প্রশাসন। হস্তান্তর বাকি ছিল ১১ দশমিক ৪০ একর জমি।
সান নিউজ/এইচএন
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            