নিজস্ব প্রতিবেদক:
যশোর: যশোরের শার্শা উপজেলার গোপালপুর ইছাপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৪) শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার একটি কক্ষে এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সহকারী সুপার আব্দুল গফুর পলাতক রয়েছেন।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আজহার আলী বলেন, মাদ্রাসায় নিয়মিত কোনো কমিটি নেই। অ্যাডহক কমিটির জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল গফুরকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আনোয়ারুল আজিম বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) মাদ্রাসাটির সহকারী সুপার আব্দুল গফুর মাদ্রাসার একটি কক্ষে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ঐ শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে। এরপর থেকে অভিযুক্ত পলাতক।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকে অভিযান চলছে।
গোগা ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, করোনার কারণে মাদ্রাসা বন্ধ। কিন্তু অফিস খোলা থাকায় ওই শিক্ষার্থীকে ফুঁসলিয়ে কক্ষে নিয়ে আব্দুল গফুর জোর করে তার শ্লীলতাহানি করেন। পরে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। এতে ওই ছাত্রীর বাবা ও স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসায় খোঁজ নিতে গেলে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল গফুর পালিয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয়টি জানার পরপরই তদন্তের জন্য শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছি।’
সান নিউজ/ এআর