জুলাই গণ-অভ্যত্থানের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিলেন ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোই এখন তার জীবনে জটিলতা তৈরি করেছে- এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর থেকে প্রায় ১০ মাস ধরে তিনি কারাবন্দী।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিলীপ আগরওয়ালা বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাধিকবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্যও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে নির্বাচিত হননি।
চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলায় তার প্রতিষ্ঠিত ‘তারা ফাউন্ডেশন’ বেশ কিছু শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সমাজসেবামূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। এ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্কুলে বিজ্ঞানাগার স্থাপন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি রিবেট, গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ, মিড-ডে মিল কর্মসূচি, অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়। করোনাকালেও তিনি সক্রিয়ভাবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিই বিতরণ করেন।
তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের কর্মকর্তারা জানান, ছাত্র আন্দোলনের সময় দিলীপ আগরওয়ালা প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার, পানি ও ছাতা সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তবে তার সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের দাবি, প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে কয়েকটি হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এমনকি অনেক মামলার বাদী নাকি জানতেনই না যে, মামলায় দিলীপ আগরওয়ালার নাম রয়েছে।
পরিবারের ভাষ্য, দিলীপ আগরওয়ালা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। আগে তিনি নিয়মিত চিকিৎসা নিতে বিদেশ যেতেন। দীর্ঘ কারাবাসে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন স্বজনেরা।
সাননিউজ/ইউকে