নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি নোয়াখালীর কবিরহাটে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রাসেলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন : সীমান্তে শান্তি ছাড়া সম্পর্কের উন্নতি হবে না
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাতে ঘটনার দীর্ঘ ১৪ বছর পর ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-২ এর একটি দল।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক বলেন, ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার নলুয়া গ্রামের রুহুল আমিনকে স্থানীয় ল্যাংড়ার দোকানের পাশে একই গ্রামের আসামিরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
আরও পড়ুন : বাজারে আসছে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তৎকালীন নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঐ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মিনারা আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঐ মামলায় কবিরহাট থানা পুলিশ তদন্ত শেষে অভিযুক্ত ৫ আসামির বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে রুহুল আমিনকে হত্যার ঘটনায় পিতা-পুত্রসহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
আরও পড়ুন : আবারও বাড়ল চিনি-ব্রয়লার মুরগির দাম
আসামিরা হলেন- আবুল হাসেম ও তার ছেলে নূরনবী, আব্দুল হক ও তার ছেলে মো. রাসেল এবং আবদুর রহিম।
এ আদেশে আদালত আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ডের আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসেম ছাড়া বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন : পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি দল শুক্রবার রাতে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল বলেন, মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পর সে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিল। প্রথমে সে ঢাকায় ট্রাকের হেলপার এবং পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মিনি ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে আত্মগোপনে ছিল।
আরও পড়ুন : চীনকে পাল্টা হুঁশিয়ারি তাইওয়ানের
তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সান নিউজ/এনজে