গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের ঘণ্টা বাজছে। শীতের বিদায়ে গাছে গাছে নতুন পাতা আর ফুলের ছড়াছড়ি। প্রকৃতি যেন রঙিন সাজে সেজেছে।
আরও পড়ুন : ১৫ শিক্ষকের একমাত্র শিক্ষার্থী অকৃতকার্য!
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এখন গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাসসহ নানা রঙের ফুলের শোভা পাচ্ছে।
আসছে ১ ফাল্গুন বসন্ত উৎসব সাথে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
আরও পড়ুন : বাস-পিকআপ সংঘর্ষে চালক নিহত
গুরুত্বপূর্ণ এ তিন দিবসের বাজার ধরতে প্রস্তুত ফুল চাষিরা। ভালো মানের ফুল বাজারজাত করতে এখন তারা পরিচর্যায় ব্যস্ত। এ দিবসগুলোতে প্রায় কোটি টাকার বেচাকেনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফুল চাষিরা বলেন, করোনা বিধিনিষেধে তারা দুই বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এ বছর যদি ফুলের বাজারদর ভালো পান তাহলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন : বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, চাচাতো ভাই গ্রেফতার
সাদুল্লাপুরের উৎপাদিত ফুল ঢাকা, রংপুরসহ গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার ও ব্যবসায়িরা এসে নিয়ে যান। কখনও কখনও চাহিদামাফিক ফুল কার্টুনে প্যাকেটজাত করে কুরিয়ারে পাঠানো হয়।
ফুল চাষিরা প্রতি মৌসুমে ৭টি উৎসবকে ঘিরে মূলত বেচাকেনা করে থাকে। উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের ফুল চাষি মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর বাগানে জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গ্লাডিওলাস, গোলাপ, গাঁদা ও রজনীগন্ধা ফুলের চাষ হলেও এবার এক বিঘা জমির বাগানে শুধু গোলাপ আর গাঁদার চাষ করে বসস্ত বরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ফুল সরবরাহ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আরও পড়ুন : দালালচক্রে মাদারীপুরে যুবকদের স্বপ্নভঙ্গ
ফুলের ভরা মৌসুমে আমাদের খাওয়ার সময় থাকে না। তবে তুলনামূলক ফুলের চাহিদা ও দাম এখনও একটু কম। বর্তমানে গোলাপ ৮ থেকে ১০ টাকা পিছ ও গাঁদা ৬ শত থেকে ৭ শত টাকা (প্রতি হাজার) বিক্রয় করা হচ্ছে। এক বিঘা জমির ফুল প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বিক্রয় করা যায়।
সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইদিলপুর এলাকার মাটি ফুল চাষে অত্যন্ত উপযোগী। ফুল চাষ করে লাভবান হচ্ছে চাষিরা।
সান নিউজ/এইচএন